ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রাঙামাটিতে অতিবৃষ্টিতে বাঘাইছড়ি উপজেলার
অন্তত তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া সড়কে গাছ পড়ে বিচ্ছিন্ন রয়েছে সড়ক যোগাযোগ।
বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় পাহাড় ধসের ঘটনাও ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী
অফিসার শিরীণ আক্তার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টানা ও অতিবর্ষণে পাহাড়ি ঢল নেমে কাঁচালং
নদীর পানি বেড়ে উপজেলার মধ্যমপাড়া, মাস্টারঘোনা, লাইনাপাড়ার প্রায় ১০-১২ হাজার মানুষ
পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এছাড়াও মারিশ্যা বাঘাইছড়ি সড়কের ৪ কিলো, ৮ কিলো, ১২ কিলো এলাকায়
গাছ পড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। তবে গাছ সরানোর কাজ শুরু হয়েছে।
দীঘিনালা-সাজেক সড়কের কবাখালী এলাকায় পাহাড়ি ঢলে বন্যায় সড়ক পানিতে
তলিয়ে গেছে এবং যান চলাচল বন্ধ থাকার খবর পাওয়া গেছে। এতে করে সাজেকের সঙ্গে যান চলাচল
বন্ধ রয়েছে সারা দেশের।
রাঙামাটিতে ঝড়ো হাওয়ার কারণে ইন্টারনেট ও মোবাইল সংযোগ সেবা বিঘ্নিত
হচ্ছে। এতে করে বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির খবর পেতে বেগ পেতে হচ্ছে। এছাড়াও জেলা শহরে মধ্যরাত
থেকে বিদ্যুৎ বিছিন্ন থাকার পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সংযোগ চালু হয়।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শিরীণ আক্তার জানান, মোবাইল নেটওয়ার্ক ঠিক মতো পাচ্ছি না, যার কারণে সার্বিক পরিস্থিতির খবর পেতে বেগ পেতে হচ্ছে। পাহাড়ি ঢলে উপজেলার কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি এখন কমেছে। যদি বৃষ্টি বাড়ে আরো গ্রাম প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি স্থানে গাছ পড়ে সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন রয়েছে উপজেলার সঙ্গে।