ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ। ওই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি খাতকে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর ও এর মাধ্যমে খাতগুলোর ডিজিটাল রূপান্তর নিশ্চিত করার কথা। এ স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১০ সাল থেকে একের পর এক প্রকল্প নিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ। এরপর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এ স্লোগান পাল্টে ‘স্মার্ট বাংলাদেশের’ ধারণা সামনে আনেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ স্লোগানের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশের সব সেবা ও মাধ্যম ডিজিটালে রূপান্তর, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। এর আওতায় নেয়া হয় আরো নতুন নতুন প্রকল্প।
সব মিলিয়ে ২০১০ সাল থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগ পর্যন্ত আইসিটি বিভাগের মাধ্যমে প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। যদিও এসব উদ্যোগের বেশির ভাগই ফলপ্রসূ হয়নি। প্রকল্পগুলোয় মোট ব্যয়ের সিংহভাগই হয়েছে অবকাঠামো উন্নয়নে। কিন্তু এত বিপুল ব্যয়ের বিপরীতে উদ্যোক্তাদের আকৃষ্ট করতে পারেনি প্রকল্পগুলো। আবার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ কর্মী গড়ে তুলতেও বেশকিছু প্রকল্প নেয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানেও প্রশিক্ষণার্থীদের পরে আইসিটি শিল্পের সঙ্গে সংযুক্ত করা যায়নি।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অবকাঠামো উন্নয়ন বাবদ নিষ্ফল বিনিয়োগের বড় একটি উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের নেয়া প্রকল্পগুলোর কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সারা দেশে হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীনে গড়ে তোলা হচ্ছে হাই-টেক পার্ক, আইটি পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর সেন্টার, ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। হাই-টেক শিল্পের বিকাশে দেশব্যাপী এসব কার্যক্রম পরিচালনা করা হলেও তা প্রত্যাশা অনুযায়ী বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারেনি। কয়েক বছর ধরে প্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে। এছাড়া সিলেট ও রাজশাহীতে নির্মিত হাই-টেক পার্কে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান স্বল্প পরিসরে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করেছে। এসব পার্কে খুব সামান্য পরিমাণে বিদেশী বিনিয়োগ এসেছে।
হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত মোট পাঁচটি প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে সংস্থাটি। এতে মোট ব্যয় হয়েছে ৭৮৮ কোটি ১৮ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। এছাড়া আরো ১০টি প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ হাজার ১২৯ কোটি ৯৩ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।
শিল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, হাই-টেক পার্কগুলোয় আইটি ইন্ডাস্ট্রিসংশ্লিষ্ট কোনো মালিক বা কর্মী যেতে আগ্রহী নন। কিছু প্রতিষ্ঠান প্রথমদিকে গেলেও নানা সংকটের কারণে পরে তারা ফেরত আসে। মূলত হাই-টেক পার্ক বলা হলেও এসব অবকাঠামোকে ঘিরে জীবনধারণের প্রয়োজনীয় ইকোসিস্টেম গড়ে না ওঠায় প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট কর্মীরা সেখানে যেতে চান না।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যবসায়িক মডেলের মধ্যে পরবর্তী ২০ বছর পরও চাহিদা থাকবে এমন পরিকল্পনা দেখাতে পারলে বিনিয়োগকারীরা উৎসাহিত হয়। কিন্তু পাঁচ বছর পরই যদি কোনো পণ্য অকেজো হয়ে যায়, তাহলে ব্যবসায়ীরা সেখানে বিনিয়োগ করতে চান না। বিগত সরকারের উদ্যোগগুলোর মধ্যে ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার মতো কোনো মডেল দেখানো যায়নি। একদিকে অবকাঠামো উন্নয়নে আমরা পিছিয়ে আছি, অন্যদিকে পরিকল্পনায়ও ভুল হয়েছে। সরকারের প্রকল্পগুলোয় শিক্ষিত স্নাতকদের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নেই। এ খাতে যারা কাজ করছেন তারা যথাযথ দক্ষতা অর্জন করতে পারছে না। এটি সরকারের পরিকল্পনার ঘাটতির কারণেই হয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারসহ বিভিন্ন ডিজিটাল লিটারেসি প্রতিষ্ঠান তৈরির জন্য তৎকালীন সরকার ২০১৫ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ১৩ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ ব্যয়ে বেশকিছু প্রকল্প নিয়েছিল। এসব প্রকল্পের একটি অংশ এরই মধ্যে উদ্বোধন করা হয়েছে। যদিও সরজমিন পরিদর্শন করে বিভিন্ন উদ্বোধনকৃত প্রতিষ্ঠানে রক্ষিত সরঞ্জামাদি নষ্ট হয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) প্রতিবেদন বলছে, মোট শিক্ষক-শিক্ষার্থী আদর্শ অনুপাতের কাছাকাছি থাকলেও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির (আইসিটি) মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শিক্ষক সংকট অত্যন্ত প্রকট। বর্তমানে আইসিটিতে মোট ১ কোটি ১৩ লাখ ৩১ হাজার ১৪৩ শিক্ষার্থীর বিপরীতে এখন শিক্ষক রয়েছেন ১৪ হাজার ৭১২ জন। সে হিসাবে প্রতি ৬৮৯ শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন একজন।
শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকার আইসিটি খাতের অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রশিক্ষণে বড় ধরনের বিনিয়োগ করলেও এসবের সুবিধা শিক্ষার্থীরা পায়নি। বিশেষ করে মফস্বল ও গ্রামের শিক্ষার্থীরা আইটি ল্যাব পেলেও এসব ল্যাব সারা বছরই বন্ধ থাকে। শিক্ষক না থাকায় তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে থাকে। ফলে শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি থেকে যাচ্ছে এবং এর প্রভাব পড়ছে ফলাফলেও। মাধ্যমিক পর্যায়ে যারা অকৃতকার্য হচ্ছে তাদের একটি অংশ আইসিটিতে অকৃতকার্য হচ্ছে।
সরকারের বড় প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত ডিজিটাল সংযোগ তথা ফাইবার অপটিক্যাল নেটওয়ার্কের বিস্তার করা। নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার বিস্তারের জন্য বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। এর মধ্যে রয়েছে কানেক্টেড বাংলাদেশ, ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন, জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়ন (ইনফো সরকার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়)। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে বড় ধরনের বিনিয়োগ করেছে সরকার। তবে এর সুফল এখনো পাচ্ছে না মফস্বল ও প্রত্যন্ত জনপদের অধিবাসীরা।
জানতে চাইলে বিডিজবস ডটকমের সিইও ও প্রতিষ্ঠাতা এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ একেএম ফাহিম মাশরুর বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ও স্মার্ট বাংলাদেশের নাম করে এখানে নানা ধরনের প্রকল্প নেয়া হয়েছে। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় নেয়া এসব প্রকল্পের মাধ্যমে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি করা হয়েছে। এর সুবিধা সাধারণ মানুষ পায়নি। এমনকি অনেক প্রকল্প ইন্ডাস্ট্রির জন্য নেয়া হলেও ইন্ডাস্ট্রির মানুষজন এখান থেকে কোনো ধরনের সুবিধা পায়নি। ইনফো সরকার-৩ নামেও একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে, এ প্রকল্পের মাধ্যমে ডিজিটাল সংযোগ, ব্রডব্যান্ড সংযোগ গ্রামে গ্রামে পৌঁছে দেয়ার কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে এখনো গ্রামের মানুষজন মোবাইল নেটওয়ার্কের ওপরই নির্ভরশীল।’
তিনি বলেন, ‘নানা সময়ে প্রশিক্ষণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও ইন্ডাস্ট্রি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কাউকে পায় না। প্রশিক্ষণের জন্য এত বরাদ্দ কোথায় যায়, নাকি প্রশিক্ষণই ভালোভাবে হয় না তা নিশ্চিত করা হয় না। আমরা ইন্ডাস্ট্রির জন্য দক্ষ মানুষ খুঁজে পাই না। অনেক অ্যাপও তৈরি করা হয়েছে, যেসব অ্যাপের কোনো কার্যকারিতা নেই। সাধারণ মানুষ এসব অ্যাপ ব্যবহার করতে পারে না।’
মন্ত্রণালয়ের দুজন কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে আগের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা নিজেদের খেয়ালখুশিমতো কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন। আর প্রকল্পগুলোর টেন্ডার থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন পর্যন্ত সব পর্যায়েই প্রভাব খাটাতেন যুবলীগের এক নেতা। তারা নিজেদের মতো করে বিভিন্ন প্রকল্প তৈরি করতেন। এসব প্রকল্পের কোনো ধরনের সম্ভাব্যতাও যাচাই করা হতো না।
এর অন্যতম উদাহরণ ‘ডিজিটাল সরকার ও অর্থনীতি শক্তিশালীকরণ (ইডিজিই)’ শীর্ষক প্রকল্পটি। বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ সহযোগিতায় এটি বাস্তবায়ন করছে আইসিটি বিভাগ। এর আওতায় ২০ হাজার আইটি গ্র্যাজুয়েট ও উদীয়মানকে প্রযুক্তির ২২টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা। সেই সঙ্গে ৮০ হাজার গ্র্যাজুয়েটের কর্মসংস্থান তৈরির উপযোগী প্রশিক্ষণ, জাতীয় চাকরি বাতায়ন প্রস্তুতকরণ, স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমি প্রতিষ্ঠা, নীতিমালা তৈরি, ২০২৫ সালের মধ্যে প্রযুক্তি খাতের রফতানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করাও এর উদ্দেশ্য। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কিছু অবকাঠামো উন্নয়ন। এসব কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা। প্রকল্পটি এখনো চলমান। কিন্তু এর লক্ষ্য অর্জন নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সংশয় রয়ে গেছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘প্রশিক্ষণ মানে তো নলেজ ট্রান্সফার বা জ্ঞান বিনিময় করা। এ প্রশিক্ষণের যদি প্রায়োগিক দিক না থাকে তাহলে তা টেকসই হয় না। আমাদের এখানে যেসব প্রশিক্ষণ দেয়া হয়, সেগুলোর বড় একটি অংশের ক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীরা কাজে যোগ দিচ্ছেন না। আবার অনেক ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ নেন, পরের দিন দেখা যায়, তিনি বদলি হয়ে যান। ফলে এ প্রশিক্ষণ আর তার কোনো কাজে লাগে না। এর জন্য যেমন প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীকে উৎপাদনশীলতায় আনতে হবে, একই সঙ্গে নীতিগত সিদ্ধান্তও নিতে হবে এসব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জনগণের কী কী উপকার হবে, ব্যবসায়িক সফলতা কতটুকু আর রফতানি সম্ভাবনা কতটুকু। এর জন্য চলমান প্রকল্পগুলোকে যাচাই-বাছাই করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের নীতিনির্ধারকরা অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী। কারণ অবকাঠামো তৈরিতে বড় বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়, লুটপাটেরও সুযোগ থাকে এ ক্ষেত্রে। এসব খাতে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ঘাটতি ছিল। জনগণের অর্থের নিদারুণ অপচয় এটি। অনেক প্রকল্প বৈদেশিক সহায়তায় নেয়া হয়েছে, এ ঋণের বোঝা জনগণকে নিতে হবে। এখন নতুন করে পরিকল্পনা থেকে শুরু করে, টেকসই করার জন্য জনবল প্রস্তুত করতে হবে।’
সরকারের গৃহীত প্রকল্পগুলোর অন্যতম জয় ডিজিটাল সার্ভিস এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (ডিসেট)। পঞ্চগড়ের এ সেন্টারটিতে শুরুতে তিন মাস পরপর বেসিক কম্পিউটার, ফ্রিল্যান্সিংসহ বিভিন্ন কোর্সের প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হলেও বর্তমানে তা তালাবদ্ধ রয়েছে। উদ্যোক্তা না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে এর কার্যক্রম।
দীক্ষা-দক্ষতা উন্নয়নে শিক্ষা অনলাইনে, গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ, হার পাওয়ার, লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রভৃতি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য নেয়া হয় ৩৩০ কোটি টাকার প্রকল্প। প্রকল্পের আওতায় পাঁচ শতাধিক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা হলেও এসব অ্যাপ্লিকেশন আপডেট করা হয়নি। জনগণও এর সুফল ভোগ করেনি।
জানতে চাইলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বিগত সরকার জনগণের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ করেছে। আমরা দেখতে পেয়েছি, অনেক ক্ষেত্রে প্রকল্পের সম্ভাব্যতাও যাচাই করেনি। মন্ত্রণালয়কে দলীয়করণের মাধ্যমে দলীয় লোকজনকে সুবিধা দিতে এসব প্রকল্প নেয়া হয়। যেসব প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে, সেগুলো যাচাইয়ের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ গঠন করব, প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করব। জনগণের কষ্টার্জিত ট্যাক্সের টাকা বৃথা যেতে দেব না আমরা।’