নোয়াখালীর সুবর্ণচরে আলোচিত ধর্ষণ মামলায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অন্য ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক ফাতেমা ফেরদৌস এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সুবর্ণচর উপজেলার চরবাগগা গ্রামের মো. রুহুল আমিন, মো. হাসান আলী বুলু, মো. সোহেল, স্বপন, ইব্রাহীম খলিল, আবুল হোসেন আবু, মো. সালাউদ্দিন, মো. জসীম উদ্দিন, মো. মুরাদ, মো. জামাল হেঞ্জু।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন মো. হানিফ, মো. চৌধুরী, মো. বাদশা আলম ওরফে কুড়াইলা বাসু, মোশারফ, মো. মিন্টু ওরফে হেলাল ও মো. সোহেল। এর মধ্যে মো. মিন্টু পলাতক রয়েছেন।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে আসামিরা। নির্যাতিত নারীর অভিযোগ, ভোট কেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেয়ায় তাকে পাশবিক এ নির্যাতন করা হয়।
ঘটনার পরদিন ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে চর জব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. মর্তুজা আলী পাটোয়ারী বলেন, ‘রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। রায়টি অপরাধীদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ২৩ জন সাক্ষী উপস্থাপন করে। আসামি পক্ষের পাঁচজন সাফাই সাক্ষী প্রদান করে। তবে কোনো সাক্ষীই ভোট কেন্দ্রে পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেয়ার জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেননি।’