বঙ্গোপসাগর এলাকায়
অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এরই মধ্যে পায়রা
সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এদিকে ১০ ফুট উচ্চতার
জলোচ্ছ্বাস হওয়ার বার্তায় ঝুকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রতিকূল
আবহাওয়ায় খাদ্য ও শুকনা খাবার মজুদ রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
কমিটি। পাশাপাশি কুয়াকাটা হোটেল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে— যদি বেশি প্রয়োজন হয় তবে হোটেল রিসোর্ট
গুলো খুলে দেয়া হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছে,
ঘূর্ণিঝড়টি আরো ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে উপকূলবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার
জনসাধারণের জানমাল নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে কলাপাড়ায় ১৫৫টি আশ্রয় কেন্দ্র
ও ২০টি মুজিব কেল্লা প্রস্তুত করেছে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন। দূর্যোগ মোকাবিলায় আগাম
প্রস্তুতি হিসেবে ৩ হাজার ১৬০ জন স্বেচ্ছাসেবকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল
এর প্রস্তুতি বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘দুর্যোগ
মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। কন্ট্রোল রুম ও মেডিকেল
টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ঝড়ে গাছ উপড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হলে দ্রুত গাছ
অপসারণের জন্য আলাদাভাবে ফায়ার সার্ভিস এবং স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হবে।
এছাড়াও দুর্যোগকালীন
সময়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আসা মানুষের জন্যও সব রকম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
কলাপাড়া আবহাওয়া
অধিদপ্তরের ইলেকট্রনিক প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অ্যান্ড পিবিও আব্দুল জব্বার
শরীফ জানান, রেমাল ক্রমেই শক্তি নিয়ে কুয়াকাটার অভিমুখে অগ্রসর হচ্ছে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে এটি খেপুপাড়া দিয়ে অতিক্রম
করতে পারে। উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব থাকতে পারে দুপুরের পর থেকেই। জোয়ারের
সময় ৭ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। আর ভাটার সময় হতে পারে ৫ থেকে ৭ ফুট
উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস। এছাড়া সারা দেশেই ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের
কারণে জলোচ্ছ্বাস, ভারীবর্ষণ ও ভূমিধ্বস হতে পারে বলেও জানান তিনি।