কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পদ্মায় নদীতে হামলার শিকার হয়ে নিখোঁজ রয়েছেন দুই পুলিশ সদস্য। তারা হলেন এএসআই সদরুল আলম ও এএসআই মুকুল হোসেন। উপজেলার বেড় কালোয়া এলাকায় পদ্মা নদীতে সোমবার ২৮ অক্টোবর ভোর ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের দাবি, ওয়ারেন্ট তামিলের জন্য কুমারখালীর চরসাদীপুরে যাচ্ছিল পুলিশের একটি দল। নৌকায় পদ্মা নদী পার হওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা হামলা চালালে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুমারখালী থানার এসআই নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে এএসআই রিপন হোসেন, সদরুল আলম, মিজানুর রহমান, মুকুল হোসেন এবং কনস্টেবল অমল কুমার একটি ওয়ারেন্ট তামিলের জন্য কুমারখালীর চরসাদীপুরে যাচ্ছিলেন। নৌকায় পদ্মা নদী পার হওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। এ সময় এএসআই সদরুল আলম ও মুকুল হোসেন নিখোঁজ হন। তাদের উদ্ধারে পুলিশের একাধিক দল তল্লাশি চালাচ্ছে।
যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মায় মাছ ধরছিলেন জেলেরা। এ সময় পুলিশ সদস্যরা জেলেদের কাছ থেকে মাছ কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। ক্ষিপ্ত হয়ে বেশ কয়েকটি নৌকায় থাকা ১৫-২০ জন তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে নৌকাটি ডুবে যায়।
তবে নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইয়ারুল নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে পদ্মা নদীতে মাছ শিকার করছিল জেলেরা। পদ্মায় তার নেতৃত্বে একটি বাহিনীও রয়েছে। রাতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরার সময় পুলিশ সদস্যরা জেলেদের কাছ থেকে মাছ কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বেশ কয়েকটি নৌকায় থাকা ১৫-২০ জন তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে পুলিশের নৌকাটি ডুবে গেলে দুই এএসআই নিখোঁজ হন।
যদিও রাতে পদ্মা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মৎস্য শিকারকারীদের ধরতে কোনো অভিযান চালানো হয়নি বলে জানিয়েছেন
কুমারখালী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহমাদুল হাসান। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘রাতে আমাদের অভিযান ছিল না। পদ্মায় পুলিশ কেন গেছে তা জানি না।’