টানা ২৪ দিন পর আবারও পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা। বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত পর্যটকদের জন্য রাঙামাটি জেলা উন্মুক্তকরণ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।
জেলা প্রশাসক বলেন, ১ নভেম্বর থেকে আগের মতোই পর্যটকরা রাঙ্গামাটি ভ্রমণ করতে পারবেন। রাঙ্গামাটিতে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় থাকায় পর্যটক ভ্রমণে সকল ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হলো। সাজেক ভ্যালিতে খাগড়াছড়ি জেলার ওপর দিয়ে যেতে হয়। সেক্ষেত্রে খাগড়াছড়িতে বিধিনিষেধ তুলে দেয়ার পর সাজেক যাওয়া যাবে। প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. শামীম হোসেন ছাড়াও জেলার পর্যটক সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গত ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ২৪ দিন তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে জেলা প্রশাসনগুলো। 'অনিবার্য কারণে' নিরুৎসাহকরণের কথা জানানো হলেও পাহাড়ে সাম্প্রতিক সময়ের সাম্প্রদায়িক সহিংসতার জেরে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পর্যটকদের কার্যত পাহাড়ে আসতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় বলে জানায় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি শহর, দীঘিনালা উপজেলা এবং ২০ সেপ্টেম্বর রাঙ্গামাটি শহরে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই জেলায় চারজন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার তদন্ত কার্যক্রম চলমানের মধ্যেই গত ১ অক্টোবর ধর্ষণের অভিযোগে খাগড়াছড়ি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে রাঙ্গামাটির সাজেক ভ্যালি উপত্যকায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে আসে জেলা প্রশাসন। ৪ অক্টোবর থেকে সাজেক ভ্যালিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিরুৎসাহিকরণের মধ্যেই ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান- তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটকদের ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিল স্থানীয় জেলা প্রশাসনগুলো।