মুন্সিগঞ্জে যুবদল নেতার মৃত্যু নিয়ে রহস্য, পরিবারের অভিযোগ হত্যাকাণ্ড

শান্তর ছোট ভাই মামুন সরকার দাবি করেছেন, তার ভাই নদীতে যাননি। তিনি বলেন, যদি সংঘর্ষে মৃত্যু হতো তবে শান্তর শরীর ভেজা থাকত। শান্তর বুকের পাঁজর ভেঙে গেছে এবং মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শান্ত আহমেদ (৩৫) রহস্যজনকভাবে মারা গেছেন। নিহতের পরিবার দাবি করছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নের জাজিরা এলাকায় মেঘনা নদীতে দ্রুতগতির স্পিডবোট ও ট্রলারের সংঘর্ষে তার মৃত্যু হছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।

আহত অবস্থায় শান্ত আহমেদকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন কয়েকজন। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় আরো চারজনকে আনা হয় হাসপাতালে। আহতরা হলেন— শামিম (৩৫), শাহাদাত (৩৮), আশেক আলী (৫৫) ও মিন্টু (৪৫)।

শান্ত আহমেদের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত আড়াইটার দিকে তার মৃত্যু হয়।

মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, শান্তর মাথায় গুরুতর আঘাত ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে তার মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত শান্ত আহমেদ চরকেওয়ার ইউনিয়নের উত্তর চরমশুরা এলাকার বাসিন্দা বোরহান সরকারের ছেলে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শান্তর ছোট ভাই মামুন সরকার দাবি করেছেন, তার ভাই নদীতে যাননি। তিনি বলেন, যদি সংঘর্ষে মৃত্যু হতো তবে শান্তর শরীর ভেজা থাকত। শান্তর বুকের পাঁজর ভেঙে গেছে এবং মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।

মামুন আর বলেন, তাকে সাদা হায়েস গাড়িতে করে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এত দ্রুত ওই এলাকায় গাড়ি কীভাবে পৌঁছাল, সেটিও রহস্যজনক। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই।

মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার জানান, শুক্রবার (১ নভেম্বর) মধ্যরাতে স্পিডবোট ও মাছ ধরার ট্রলারের সংঘর্ষে শান্ত আহমেদ গুরুতর আহত হয়ে মারা যান। তবে ঘটনাটি বিস্তারিত তদন্ত করা হচ্ছে।

আরও