কক্সবাজারের চকরিয়ার আলোচিত
চরণদ্বীপ এলাকার চিংড়ি ঘেরে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগে দায়ের করা দুটি মামলায় আদালত
থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন
আহমদ। তিনি বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪
এর বিচারক আখতার জাবেদের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। একই সঙ্গে ২০০৭ সালে তৎকালীন
তত্বাবধায়ক সরকার আমলে করা এ দুটি মামলা থেকে বেকসুর খালাসের আবেদন করেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ দুপুরে
কক্সবাজার শহরে আদালত পাড়ায় হাজির হন। এ সময় আইনজীবী ও বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা
তাকে স্বাগত জানান। পরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আখতার জাবেদ দুটি মামলার কার্যক্রম
স্থগিত করে সালাহউদ্দিন আহমদসহ সকল আসামিকে খালাস দেন।
সূত্রমতে, খালেদা জিয়ার
নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকারের বিদায়ের পর ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সালাহউদ্দিন আহমদকে
প্রধান আসামি করে ওই মামলা দুটি করা হয়। মামলাগুলোতে সালাহউদ্দিন আহমদ ছাড়াও চকরিয়া
উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়। এ দুটি মামলারই বাদী
মাহমুদুল হক নামের এক ব্যক্তি।
এজাহার সূত্রে জানা যায়,
দুই মামলার একটিতে ২৩ জন ও অন্যটিতে ৩৪ জনকে আসামি করা হয়েছিল। এদের মধ্যে সালাহউদ্দিন
আহমদ ছাড়াও চকরিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব এনামুল হক, নুরুল ইসলাম হায়দারসহ
অন্য নেতাকর্মীরা ছিলেন। এসব মামলার সকল আসামিই সালাহউদ্দিন আহমদের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক
সহকর্মী।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির
সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, চিংড়ি ঘেরে হামলা কিংবা দখলবাজির মতো ঘটনার সঙ্গে আমার
কোনো সম্পৃক্ততা নেই। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত এসব মামলা হয়েছিল।
খালাসের পর সালাহ উদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হওয়ার পর আদালত থেকে তিনিসহ মামলার অপরাপর আসামিরা ন্যায় বিচার পেয়েছেন। স্বৈরাচার আমলে সারাদেশে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো এবং জুলাই ও আগস্ট বিপ্লবের হাজার হাজার ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে যেসব মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছিল ওইসব মামলাও প্রত্যাহার চান তিনি।