স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী (এলজিআরডি) তাজুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকার সাবেক ও বর্তমান মেয়র দুজনই একই দলের আদর্শের মানুষ। তবে তাদের মধ্যে চিন্তাচেতনা ও কাজের ভিন্নতা থাকতে পারে। এর মধ্যে যে বাগিবতণ্ডা শুরু হয়েছে তা দলকে আরো সুসংগঠিত করবে। তবে সাধারণ কর্মীদের মাঝে এর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। গতকাল সকালে মেহেরপুরের মুজিবনগরে ঐতিহাসিক স্বাধীনতা সড়ক পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
পরিদর্শনকালে এলজিআরডিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরই তারা স্বাধীনতার অনেক স্মৃতিবিজড়িত স্থানকেই সমর্থন করেনি। তেমনিভাবে এটাও অবহেলিত ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যেমনভাবে সম্মান করা হচ্ছে, তেমনভাবে যুদ্ধকালীন স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলোকেও সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ১৭ এপ্রিলে কলকাতা-মুজিবনগর সড়কটির নাম দেয়া হয়েছে স্বাধীনতা সড়ক।
একই অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফরহাদ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিতে মুজিবনগরে ১ হাজার কোটি টাকার কাজ হবে। এ প্রকল্পের নকশা প্রায় চূড়ান্ত। দ্রুত প্রকল্পটি একনেকে তোলা হবে। আশা করা যায় আগামী অর্থবছরে কাজ শুরু হবে। এটি বাস্তবায়ন হলে মুজিবনগর থেকে মুক্তিযুদ্ধের পুরো ইতিহাস দেশ-বিদেশের দর্শনার্থীদের সামনে তুলে ধরা যাবে।
এ সময় মেহেরপুর-২ গাংনী আসনের সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকন, জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম, পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।