দুই দশক ধরে বন্ধ গল্প-আড্ডার ক্যান্টিন

যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজের মধু মঞ্চের পেছনে ছাত্র কমন রুমের সঙ্গে রয়েছে লম্বা আকৃতির একটি কক্ষ।

যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজের মধু মঞ্চের পেছনে ছাত্র কমন রুমের সঙ্গে রয়েছে লম্বা আকৃতির একটি কক্ষ। সেখানে ছিল ক্যান্টিন। ভেতরে শিক্ষার্থীদের বসার বন্দোবস্ত ছিল। ক্লাসের ফাঁকে, অবসরে চা নাশতার পাশাপাশি গল্প-আড্ডায় সময় পার করতেন শিক্ষার্থীরা। চায়ের কাপে রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্কেও ঝড় তুলছেন ক্রিয়াশীল বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা। তবে সেটি এখন অতীত। প্রায় দুই দশক ধরে বন্ধ রয়েছে শিক্ষার্থীদের আড্ডায় মুখর থাকা ক্যান্টিন।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, উচ্চ মাধ্যমিক, অনার্স, মাস্টার্স ও ডিগ্রি পাস কোর্স মিলিয়ে কলেজে শিক্ষার্থী রয়েছে ৩০ হাজারের বেশি। কলেজের সময় সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত। এ সময় রুটিন অনুযায়ী ক্লাস চলে। দীর্ঘ সময় ক্যাম্পাসে অবস্থানকালে শিক্ষার্থীদের ক্ষুধা নিবারণের কোনো ব্যবস্থা নেই। ২০০৩ সাল পর্যন্ত কলেজে ক্যান্টিন চালু ছিল। দুই দশকের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে ক্যান্টিনটি। যদিও মাঝে ২০১০ সালে উদ্যোগ নিয়েও শেষ পর্যন্ত চালু করা যায়নি। ক্যাম্পাসে অবস্থানকালে ক্ষুধা মেটাতে হয় ঝাল-মুড়ি ও বাদাম দিয়ে। কলেজের বাইরে চায়ের দোকান থেকে পাউরুটি, কেক, কলা ও বিস্কুট খেয়ে কেউ কেউ ক্ষুধা নিবারণ করছে।

বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি আহাদ আলী মুন্না বলেন, ‘আমাদের সময় ক্যান্টিনটি জমজমাট থাকত সব সময়। ২০০৩ সাল পর্যন্ত চালু থাকতে দেখেছি। সেই সময় ক্যান্টিনে রাজনৈতিক আড্ডা জমাতেন ছাত্র নেতারা। চা নাশতা করতে করতে ছোটখাটো মিটিং চলত। বর্তমানে কলেজের উন্নতি হয়েছে। আমাদের সময় অনেক কিছুর ঘাটতি ছিল।’

আরও