পটুয়াখালী থেকে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার। এর মধ্যে পাখিমারা বাজার থেকে আলীপুর তিন রাস্তার মোড় পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার সড়কে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দা ও সমুদ্রসৈকতে আসা পর্যটকদের। পাঁচ-ছয় বছরের বেশি সময় ধরে সড়কটির এমন অবস্থা হলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে সড়কটি সংস্কারে শিগগিরই দরপত্র আহ্বান করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কর্মকর্তারা।
সওজ বিভাগের তথ্যমতে, পটুয়াখালীর কলাপাড়া থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার সড়ক ২০০৯ সালে নতুন করে নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সওজ বিভাগ। এর মধ্যে ১১ কিলোমিটার অংশের নির্মাণকাজ করে দি রূপসা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নির্মাণের পাঁচ-ছয় বছর পর ভাঙতে শুরু করে সড়কটি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভাঙা সড়কে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে পর্যটক ও স্থানীয়দের। সাগরে মাছ ধরার পর জেলেরা আলীপুর ও মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে মাছ সরবরাহ করা হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে। তবে ভাঙা সড়কের কারণে সময়মতো মাছ সরবরাহ করা যাচ্ছে না। অনেক সময় মাছ পচে যায়।
কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে আসা পর্যটক মো. কাইয়ুম ও আবদুল ওয়াদুদ সিকদার বলেন, ‘আমরা প্রায় সময়ই কুয়াকাটায় বেড়াতে আসি। পাখিমারা থেকে আলীপুর তিন রাস্তার মোড় পর্যন্ত সড়কের অবস্থা ভালো নয়। এত পরিমাণ গর্ত, গাড়ির ঝাঁকুনিতে শরীর ব্যথা হয়ে যায়। সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ না নিলে পর্যটকরা কুয়াকাটা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন।’
বাসচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘পাখিমারা থেকে আলীপুর তিন রাস্তার মোড় পর্যন্ত সড়ক ভাঙা। ঝাঁকুনিতে পর্যটকরা অস্বস্তি বোধ করেন।’
স্থানীয় বাসিন্দা মো. রাসেল বলেন, ‘সড়কে এত গর্ত হয়েছে যে বর্ষা মৌসুমে চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়বে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা যাওয়া-আসা করেন, কিন্তু কেউই সংস্কারের পদক্ষেপ নেন না।’
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী এ এম আতিক উল্লাহ জানান, পাখিমারা বাজার থেকে আলীপুর তিন রাস্তার মোড় পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার করা হবে। এজন্য শিগগিরই দরপত্র আহ্বান করা হবে।