প্রবাসীদের জন্য নির্মিত ওয়েজ আর্নার্স সেন্টার

আবাসন সুবিধা ৪৯ জনের তবু ফাঁকাই পড়ে থাকে

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রভাবে দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেক প্রবাসী রাজধানীতে এসে আটকা পড়েছেন। কেউ কেউ আটকা পড়েছেন ফ্লাইট বাতিল হওয়ার কারণে। এসব প্রবাসী শ্রমিক প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা খরচ করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আশপাশের আবাসিক হোটেলগুলোয় থাকছেন। আবার ফ্লাইট ধরতে না পারার আশঙ্কায় দু-তিন দিন আগে যারা এসেছেন, তারাও উঠেছেন এসব হোটেলে। কিন্তু প্রবাসী শ্রমিকদের আপৎকালীন থাকা-খাওয়ার জন্য ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু ওয়েজ আর্নার্স সেন্টার’ প্রায় ফাঁকাই পড়ে আছে। যদিও এ সেন্টারে আসনসংখ্যা মাত্র ৪৯টি। বেশির ভাগ প্রবাসীর ভাষ্য, তারা এ ধরনের সুবিধা থাকার কথা জানেনই না।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রভাবে দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেক প্রবাসী রাজধানীতে এসে আটকা পড়েছেন। কেউ কেউ আটকা পড়েছেন ফ্লাইট বাতিল হওয়ার কারণে। এসব প্রবাসী শ্রমিক প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা খরচ করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আশপাশের আবাসিক হোটেলগুলোয় থাকছেন। আবার ফ্লাইট ধরতে না পারার আশঙ্কায় দু-তিন দিন আগে যারা এসেছেন, তারাও উঠেছেন এসব হোটেলে। কিন্তু প্রবাসী শ্রমিকদের আপৎকালীন থাকা-খাওয়ার জন্য ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু ওয়েজ আর্নার্স সেন্টার’ প্রায় ফাঁকাই পড়ে আছে। যদিও এ সেন্টারে আসনসংখ্যা মাত্র ৪৯টি। বেশির ভাগ প্রবাসীর ভাষ্য, তারা এ ধরনের সুবিধা থাকার কথা জানেনই না। 

বিদেশগামী ও প্রবাসফেরত কর্মীদের আবাসন সুবিধাসহ বিভিন্ন সেবা দিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে ২০২২ সালে নির্মিত হয় ‘বঙ্গবন্ধু ওয়েজ আর্নার্স সেন্টার’। এতে ৪৩ জন পুরুষ ও ছয়জন নারীর আবাসন সুবিধা রয়েছে। প্রতিদিন সিট ভাড়া ২০০ টাকা। থাকা যাবে সর্বোচ্চ দুই দিন। লাগেজসহ মূল্যবান মালামাল সংরক্ষণের জন্য রয়েছে লকার ব্যবস্থা। ক্যান্টিনে সাশ্রয়ী মূল্যে খাবারও পাওয়া যায়। 

খুলনা থেকে আসা সৌদিগামী প্রবাসী সজল সিকদারের সঙ্গে কথা হয় হাজি ক্যাম্পের সামনে। তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, ‘দেশে চলমান অস্থিতিশীলতার জন্য ফ্লাইটের একদিন আগেই এসেছি। তবে সরকারিভাবে যে থাকার ব্যবস্থা আছে, সেটা জানতাম না। তাই হাজি ক্যাম্পের এখানে আবাসিক হোটেলে উঠেছি। যদি জানতাম এ সুবিধা আছে, তাহলে হোটেলে ৭ হাজার টাকা খরচ হতো না।’

বঙ্গবন্ধু ওয়েজ আর্নার্স সেন্টারের তথ্যানুযায়ী, গত ১৮ জুলাই ১২ জন, ১৯ জুলাই ২৯ জন, ২০ জুলাই ২৫ জন, ২১ জুলাই ২৪ জন, ২২ জুলাই ১৪ জন এবং ২৩ জুলাই ১২ জন প্রবাসী এখানে আবাসন সুবিধা নেন। এর আগে এপ্রিলে ৭২ জন, মে মাসে ১৪৮ ও জুনে ৪১ জন এখানে ছিলেন। চলতি মাসে গতকাল পর্যন্ত আবাসন সুবিধা নিয়েছেন ১২৬ জন।

সেন্টারটির উপসহকারী পরিচালক আনিসুজ্জামান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘‌আমরা প্রচার করে যাচ্ছি, অনেকে ফোন করছেন। আমরা চলমান পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত আরো শতাধিক আবাসন সুবিধার ব্যবস্থাও করেছিলাম। তবে প্রবাসীরা আসছেন কম। সিট ফাঁকাই থাকছে। বিমানবন্দরে আবাসিক হোটেলের লোকজন দাঁড়ানো থাকে, তারা হোটেলে নিয়ে যায়। এজন্য প্রবাসীরা এখানে অনেকে আসেন না। আবার অনেকে এ ব্যাপারে জানেন না। তবে আমরা বিমানবন্দরের ডেস্কে এ ব্যাপারে তথ্য দিয়ে সহায়তা করছি।’


আরও