নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার জালকুড়ি এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নির্মাণাধীন ভবনের ক্রেন থেকে মালপত্র পড়ে দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। অন্যজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। গতকাল দুপুরে বিজিবির নারায়ণগঞ্জ ৬২ ব্যাটালিয়নের অধীন নির্মাণাধীন সীমান্ত টাওয়ারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার চাঁনপুরের চনবাড়ী গ্রামের আবদুর রউফের ছেলে শহিদ মিয়া (৩৫) ও নারায়ণগঞ্জের সোনরাগাঁ উপজেলার বিহাকৈর গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে মো. তোবারক হোসেন (৫০)। তারা দুজনই ফতুল্লায় বাসা ভাড়া নিয়ে পরিবারসহ থাকতেন। শেলটেক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক হিসেবে তারা সেখানে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ ও শ্রমিকরা জানান, জালকুড়িতে বিজিবির সীমান্ত টাওয়ার নামের একটি বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ চলছে। গতকাল দুপুরে ভবনের লিফটের জন্য মালপত্র ওঠানোর কাজ করছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। এ সময় ক্রেনের তার ছিঁড়ে মালপত্র নিচে পড়ে যায়। এতে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তোবারক হোসেন। গুরুত্বর আহতাবস্থায় শহিদ নামের অন্য শ্রমিককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
সীমান্ত টাওয়ারের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শেলটেক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের নির্মাণসামগ্রী ওঠানোর (ক্রেন) উপঠিকাদার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নির্মাণাধীন ভবনের লিফট ওঠানো হচ্ছিল। নবম তলায় একটি লিফট ওঠানোর সময় হঠাৎ ক্রেনের রশি ছিঁড়ে গেলে নিচে চাপা পড়েন শহিদ ও তোবারক। ঘটনাস্থলেই তোবারকের মৃত্যু হয়। শুনেছি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিকালে শহীদ মারা গেছেন।’
এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নুরে আযম জানান, দুই শ্রমিকের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্য শ্রমিকের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।