কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের টেলিফোন অপারেটর মো. আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পরও তাকে হিসাবরক্ষক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় কুমেক হাসপাতালের কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
দুদক ও কুমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত বছর আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছিল। এ ঘটনায় ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর দুদক আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, তিনি ১০ লাখ ৬৫ হাজার ৫৬৬ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। মামলাটি তদন্ত করছেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের (কুমিল্লা) কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা থাকলেও তাকে শাস্তির পরিবর্তে উল্টো পদোন্নতি দেয়া হয়। চলতি বছরের ১০ আগস্ট তৎকালীন কুমেক পরিচালক ডা. শেখ ফজলে রাব্বি তাকে হিসাবরক্ষক পদে পদোন্নতি দেন।
এ বিষয়ে সাবেক পরিচালক ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। শূন্য পদ থাকায় তাকে সাময়িকভাবে কাজ করতে বলা হয়েছিল।
অপরদিকে অভিযুক্ত আবুল খায়ের বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সব জেনেই আমাকে পদোন্নতি দিয়েছে।’
বর্তমান কুমেক পরিচালক ডা. মো. মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘আমি কিছুদিন আগে এখানে যোগদান করেছি। আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে মামলা সম্পর্কে অবগত হয়েছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তবে দুদক কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মাসুম আলীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার মন্তব্য জানা যায়নি।