আগামীকাল খুলনা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

খুলনা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্যক্তিগত সফরে আগামীকাল শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে তার সড়কপথে খুলনায় যাওয়ার কথা রয়েছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী খানজাহান আলী সেতু পার হয়ে আড়ংঘাটা বাইপাস ধরে দিঘলিয়া ঘাটে পৌঁছাবেন

খুলনা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্যক্তিগত সফরে আগামীকাল শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে তার সড়কপথে খুলনায় যাওয়ার কথা রয়েছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী খানজাহান আলী সেতু পার হয়ে আড়ংঘাটা বাইপাস ধরে দিঘলিয়া ঘাটে পৌঁছাবেন।

ঘাট পার হয়ে তিনি দিঘলিয়ার নগরঘাট এলাকায় তার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে কেনা পাট গোডাউন পরিদর্শন করবেন।

এর আগে সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ৩ মার্চ খুলনায় যান।

আজ বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সকালে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এ সফর রাষ্ট্রীয় নয়। এ কারণে তার সঙ্গে আমাদের দলের কোনো নেতাকর্মীর সাক্ষাৎ হবে কিনা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

সুজিত বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিঘলিয়ার নগরঘাট এলাকায় একটি জমি কেনা ছিল। জমির ওপর পাট গোডাউন ছিল। নেত্রী দীর্ঘদিন সেখানে আসেননি।’

তবে আওয়ামী লীগের দলীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, দিঘলিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা দেখা করতে পারবেন।

বঙ্গবন্ধুর কেনা সেই পাট গোডাউনের বর্তমান রূপ

পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে দিঘলিয়ার ভৈরব নদের কোলঘেঁষে নগরঘাট এলাকায় ১ একর ৪৪ শতক (৪ বিঘা) জমিতে পাট গোডাউন ও এক কক্ষ বিশিষ্ট ঘরসহ জমি কেনেন। তৎকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধুর ছোটভাই শেখ আবু নাসের এ জমি দেখাশোনা করতেন।

বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর এ জমির মালিক হলেও বিষয়টি জানতেন না প্রধানমন্ত্রী। ২০০৭ সালে ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে জমিটির খোঁজ পান।

দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খান নজরুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর পুরোনো সেই পাট গোডাউন ভেঙে সেখানে আধুনিক গুদামঘর নির্মাণ করা হয়েছে। নদীর তীরবর্তী স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে রেস্ট হাউজ। গোডাউন সংলগ্ন পাকা রাস্তার নামকরণ হয়েছে শেখ রাসেল সড়ক।

আরও