কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পদ্মায় নিখোঁজ দুই এএসআইয়ের একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফয়ার সার্ভিস। গতকাল উদ্ধার করা মরদেহ এএসআই সদরুল আলমের বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তিনি কুমারখালী থানায় কর্মরত ছিলেন। তবে তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন এএসআই মুকুল হোসেন।
কুমারখালী থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ এলাকায় পদ্মা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অন্য এএসআই মুকুল হোসেনকে উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
এর আগে সোমবার ভোরে পদ্মা নদীতে হামলার শিকার হয়ে নিখোঁজ হন এএসআই সদরুল আলম ও এএসআই মুকুল হোসেন। উপজেলার বেড় কালোয়ায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের দাবি, ওয়ারেন্ট তামিলের জন্য কুমারখালীর চরসাদীপুরে যাচ্ছিল পুলিশের একটি দল। নৌকায় পদ্মা নদী পার হওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা হামলা চালালে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুমারখালী থানার এসআই নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে এএসআই রিপন হোসেন, সদরুল আলম, মিজানুর রহমান, মুকুল হোসেন ও কনস্টেবল অমল কুমার একটি ওয়ারেন্ট তামিলের জন্য কুমারখালীর চরসাদীপুরে যাচ্ছিলেন। নৌকায় পদ্মা নদী পার হওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। এ সময় এএসআই সদরুল আলম ও মুকুল হোসেন নিখোঁজ হন।