সিলেটে
ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে সাংবাদিক ও ছাত্র নিহতের
ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের
(শাবিপ্রবি) উপাচার্য (ভিসি), সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের। গতকাল সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন নিহতদের স্বজন।
আদালত সূত্র জানায়, ১৯ জুলাই সিলেটে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাংবাদিক এটিএম তুরাব। ঘটনার এক মাস পর নিহতের ভাই আবুল আহসান মো. আযরফ (জাবুর) বাদী হয়ে গতকাল সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন অতিরিক্ত উপকমিশনার (ক্রাইম উত্তর) মো. সাদেক দস্তগীর কাউসার, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ, সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি) মিজানুর রহমান। শুনানি শেষে মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণী (এফআইআর) দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী রুদ্র সেন নিহতের ঘটনায় গতকাল আরেকটি মামলা হয়েছে। সিলেটের অতিরিক্তি চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল মোমেনের আদালতে এ মামলাটি করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শাবিপ্রবি শাখার সমন্বয়ক হাফিজুল ইসলাম। মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, শাবিপ্রবির সদ্য সাবেক উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন, একাধিক সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের আসামি করা হয়েছে।
আদালত অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রব।
প্রসঙ্গত, ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে শাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।