বিশ্ব নদী দিবসের আলোচনা

দখলদারত্বে সিলেট বিভাগে ৩৫ নদ-নদী সংকটাপন্ন

বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে সিলেটে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) আয়োজিত সভায় ‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য জলপথ’ বিষয়ে একটি উপস্থাপনা পরিবেশন করেন বেলার সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহ সাহেদা আখতার।

বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে সিলেটে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) আয়োজিত সভায় ‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য জলপথ’ বিষয়ে একটি উপস্থাপনা পরিবেশন করেন বেলার সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহ সাহেদা আখতার।

অ্যাডভোকেট মো. ইরফানুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাছরিন আক্তার।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘সিলেট বিভাগের ৩৫টি নদ-নদী বেশি সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। বেশির ভাগই দখলদারত্বের কারণে গতিপথ হারাচ্ছে। মানুষ ঘরবাড়ি ও স্থাপনা নদীগর্ভে হারাচ্ছে। একদিকে ধলাই নদের সাদাপাথর ও যাদুকাটা নদীতে পর্যটকদের যাওয়ার জন্য আকৃষ্ট করা হচ্ছে, অন্যদিকে সেখান থেকে বালি ও পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। পর্যটকরা গিয়ে সেটার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারছে না। শুধু দখলদার ও বালুমহালের কারণে। দখলদার ও বালুমহালের কবল থেকে নদীকে বাঁচানো প্রয়োজন।’

বক্তারা আরো বলেন, ‘নদ-নদীর বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডে (পাউবো) সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না। নদী রক্ষা কমিশনের তথ্যের সঙ্গে পাউবোর তথ্যে পার্থক্য থাকে। নদী রক্ষা কমিশনের তথ্যমতে সিলেট বিভাগে নদ-নদীর সংখ্যা ১৬৮। আর পাউবোর তথ্যমতে মাত্র ৩৬টি। নদ-নদীগুলোর বেশির ভাগই বিভিন্ন ব্যক্তির দখলে রয়েছে। এর মধ্যে বিশ্বনাথের বাসিয়া নদীর দুই কিলোমিটারই রয়েছে ১৮৬ জনের দখলে। রাজনৈতিক নেতাকর্মীরাই মূলত নদী দখলে জড়িত রয়েছে। অথচ বন্যা এলেই তারা প্রথমে ভোগান্তির মধ্যে পড়ে।’

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. পীযূষ কান্তি সরকার, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম, মৎস্য উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক সীমা রানী বিশ্বাস, পাউবো সিলেটের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. তানভীর ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক মো. বদরুল হুদা, সিলেট প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির প্রমুখ।

মুক্ত আলোচনা পর্বে অংশ নেন সিলেট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এমাদুল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহীন, সারি বাঁচাও আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হাই আল হাদী, সিলেট প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, সাংবাদিক ইকবাল সিদ্দিকী, ফয়সল আহমদ বাবলু, নূর আহমদ, অ্যাডভোকেট জাকিয়া জালাল, সৈয়দ মনির আহমেদ, অরুণাভ বণিক পলাশ, সাজিদুর রহমান সোহেল, ফজল খান, অ্যাডভোকেট কামাল হোসাইন, নাসির উদ্দিন আহমেদ ও ফজলুল করিম সাঈদ।

আরও