চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে নিয়মিত বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। গত পাঁচ মাসে ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে ১৩ গুণ। এ সময়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২২ ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে শুধু অক্টোবরেই চিকিৎসা নিয়েছে ১৩ জন। তবে কেউ মারা যায়নি। চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গুতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বয়স্করা। রোগটি প্রতিরোধে এখনই সচেতনতা প্রয়োজন।
মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জুনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছিল। জুলাইয়ে রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় দ্বিগুণ। আগস্টে দুজন ভর্তি হলেও সেপ্টেম্বরে চিকিৎসা নেয় তিনজন। তবে অক্টোবরে গত চার মাসের রেকর্ড ভেঙে ১৩ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে অনেকের জ্বর কমলেও শরীর দুর্বল। এ সময় কথা হয় বিদ্যালয়ের শিক্ষক গাজী নুরুল আহাদের সঙ্গে। তিনিও ডেঙ্গু আক্রান্ত। গাজী নুরুল আহাদ জানান, বেশকিছু দিন জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। জ্বর না কমায় রক্ত পরীক্ষা করলে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। পরে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। জ্বর কমলেও শরীর দুর্বল তার। চিকিৎসক আরো কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে বলেছেন।
মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স ইনর্চাজ সীমা রানী নাথ বলেন, ‘গত পাঁচ মাসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২২ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে জুন, জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে রোগী ছিল নয়জন। তবে অক্টোবরে রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ জনে। তবে কেউ মারা যাননি।’
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাম্প্রতিক বন্যায় এখনো বিভিন্ন স্থানে ময়লা পানি জমে থাকায় এডিস মশা জন্ম নিচ্ছে। এ কারণে ডেঙ্গু রোগীও বাড়ছে।
মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মিনহাজ উদ্দিন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘সন্ধ্যা ও ভোর বেলা এডিস মশা কামড় দেয়। এ সময়টায় মশারির ভেতর থাকতে হবে। পাঁচ লাখ মানুষের উপজেলায় চলতি মাসে ১৩ রোগী বেশি নয়। তবে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের অধিকাংশ শহর থেকে জ্বর নিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। পরে রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়েছে।’