অগ্রহায়ণ মাসের শুরুতেই উত্তরাঞ্চলের
জেলা গাইবান্ধায় শীত অনুভূত হচ্ছে। বেশ কয়েক দিন ধরে সন্ধ্যার পর পড়ছে কুয়াশা। এমন
পরিস্থিতিতে শীতের তীব্রতা বাড়ার আগেই মানুষে ভিড় জমাচ্ছে লেপ-তোষক তৈরির দোকানে।
জেলার ৭টি উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার
গুলোতে লক্ষ্য করা গেছে কারিগরদের ব্যস্ততা। বেড়েছে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের আনাগোনাও।
গাইবান্ধা পৌর শহরের কাচারি বাজারে
গিয়ে দেখা যায়, লেপ-তোষক তৈরির অত্যাবশ্যক উপকরণের বেচাকেনা চলছে। কারিগররা জানান,
গত বছরের তুলনায় কাপড় ও তুলার দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে বাজারে।
শিমুল তুলা প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৬০০
টাকা, কালো হুল ৮০ থেকে ৯০ টাকা, কালো রাবিশ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কার্পাস তুলা ৩২০ থেকে
৩৫০ টাকা ও সাদা তুলা ১১০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
সদর উপজেলার পুরাতন বাদিয়াখালী বাজারের
তুলা ও লেপ-তোষক ব্যবসায়ী মো. জিল্লুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, গত বছরের তুলনায়
তুলার দাম বাড়ার সঙ্গে কাপড়ের দাম গজ প্রতি ১৫-২০ টাকা বেড়েছে।
তিনি বলেন, মাঝারি ধরনের একটি লেপ বানাতে
খরচ হচ্ছে ১৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা। তোষক বানাতে ১৫০০ থেকে ১৭০০ টাকা খরচ হয়। তবে তুলার
ধরন ভেদে লেপ-তোষকের দাম কম-বেশি হয়ে থাকে।