তরমুজ মূলত গ্রীষ্মকালীন ফল। তবে দিনাজপুরে হেমন্তেই মিলছে রসালো এ ফল। হিলির খট্টামাধবপাড়া গ্রামে মাচায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করছেন কৃষি উদ্যোক্তা হাইফুল ইসলাম। লাভজনক হওয়ায় তার দেখাদেখি গ্রামের অনেকেই তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। উচ্চ মূল্যের এ ফল আবাদে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দেয়া দিচ্ছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথমবার ৪০ শতাংশ জমিতে তরমুজ চাষ করেন হাইফুল ইসলাম। ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা লাভ হয় তার। এবার ৫০ শতাংশ জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন তিনি।
কৃষক হাইফুল ইসলাম বলেন, ‘হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে এক কৃষককে তরমুজ চাষের প্রদর্শনী করতে দেয়া হয়। প্রদর্শনীর তরমুজ চাষ দেখে আমারও খুব ইচ্ছা জাগে। কৃষি অফিসের পরামর্শে প্রথমে ৪০ শতাংশ জমিতে মাচাং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ শুরু করেছিলাম। তাতে খরচ হয়েছিল ৪০ হাজার টাকা। ১ হাজার ৪০০ টাকা মণ হিসেবে তরমুজ বিক্রি করেছিলাম ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এতে প্রথমবার ৪০ শতাংশ জমিতে তরমুজ চাষ করেই খরচ বাদ দিয়ে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা লাভ হয়। সেই থেকে আরো বড় পরিসরে চাষের চিন্তায় দ্বিতীয়বারের মতো ৫০ শতাংশ জমিতে সবুজ ও হলুদ বর্ণের তরমুজ চাষ করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকায় গাছগুলোয় ভালো ফলন আসছে। পাকতে শুরু করায় তরমুজ বাজারজাত শুরু করেছি। এবার প্রতি মণ তরমুজ ১ হাজার ৮০০ টাকা বিক্রি করছি। তাতে দেড় লাখ টাকার মতো লাভ থাকবে আমার।’
তিনি বলেন, ‘বীজ বপনের ৭০ দিনের মধ্যেই ফলন পাওয়া যায়। তরমুজ পেকে গেলে পাইকাররা খেত থেকেই কিনে নিয়ে যান। ধানের চেয়ে অধিক লাভজনক হওয়ায় আগামীতে বড় পরিসরে তরমুজ চাষাবাদের ইচ্ছা আমার।’
এ বিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম বলেন, ‘তরমুজের এ জাত খরিপ-১ ও খরিপ-২ মৌসুমে চাষ করা যায়। এটি শুধু এক মৌসুমে নয়, বিভিন্ন মৌসুমে চাষযোগ্য। এর বাজারমূল্যও ভালো। এরই মধ্যে বেশকিছু কৃষক এ জাতের তরমুজ চাষে উদ্যোগ নিয়েছেন। এটি সম্ভাবনাময় একটি ফল।’