বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এলএলবি (ব্যাচেলর অব ল’স) প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন সংখ্যা পুনরায় নির্ধারণের জন্য বাংলাদেশ বার কাউন্সিলকে চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। ডুয়াল সেমিস্টারভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য এ চিঠি দেয়া হয়। চিঠি অনুযায়ী, বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এতদিন তিন সেমিস্টারভিত্তিক কার্যক্রমে প্রতি সেমিস্টারে ৫০ জন করে বছরে ১৫০ জন ভর্তি করতে পারত। এখন দুই সেমিস্টারভিত্তিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে তা সমন্বয় করে সেমিস্টারপ্রতি ৭৫টি আসন নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে।
ইউজিসির কর্মকর্তারা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক ও অবকাঠামো সক্ষমতা সাপেক্ষে ডুয়াল সেমিস্টার কার্যক্রমের সঙ্গে সমন্বয় করে শিক্ষার্থী আসন সমন্বয় করে দেয়া হচ্ছে। তবে আইন বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালন ও আসন সংখ্যা নির্ধারণের ক্ষেত্রে বার কাউন্সিলের অনুমোদনের প্রয়োজন। তাই সম্প্রতি বার কাউন্সিলের সচিবের কাছে এ বিষয়ক একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
কমিশনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্দেশনা অনুযায়ী ইতোপূর্বে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ব্যাচেলর অব ল’ প্রোগ্রামে বছরে তিন সেমিস্টারে সর্বোচ্চ ৫০ জন করে মোট ১৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারত। সে মোতাবেক আগামী ১ জানুয়ারি থেকে সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি প্রোগ্রামে বাই-সেমিস্টার পদ্ধতিতে প্রতি সেমিস্টারে সর্বোচ্চ ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করলে বছরে মোট ১০০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। সে বিবেচনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এলএলবি প্রোগ্রামে বছরে তিন সেমিস্টারের পরিবর্তে দুই সেমিস্টারে মোট আসন সংখ্যা অক্ষুণ্ন রেখে দুটি সেকশনে বিভাজনপূর্বক প্রতি সেমিস্টারে মোট ৭৫ জন করে বছরে মোট ১৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বণিক বার্তাকে বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রম, পাঠ্যক্রম ও শিক্ষার্থী আসনের বিষয়গুলো কমিশন থেকে নির্ধারণ ও অনুমোদন করা হয়। তবে দারুল ইহসানের ঘটনার পর আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম বিষয়ে বার কাউন্সিলের অনুমোদনের বিষয়টি যুক্ত হয়। তাই বাই সেমিস্টার কেন্দ্র করে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে আসন সংখ্যা সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় নিয়ে বার কাউন্সিলকে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে।