ব্রাহ্মণবাড়িয়ার
আশুগঞ্জ নৌবন্দরের সঙ্গে আখাউড়া স্থলবন্দরের যোগাযোগ সহজ করতে চার লেন সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। তিনটি প্যাকেজে ৫০ দশমিক ৫৮
কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২০ সালে।
ভারতীয় ঋণসহায়তা ও বাংলাদেশ সরকারের
যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২৫ সালের ৩০ জুন। তবে
সরকার পরিবর্তনের পর ১০ আগস্ট
ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গেছেন বলে জানা গেছে। প্রায় দেড় মাস পার হলেও এখনো কাজে ফেরেনি প্রতিষ্ঠানটি।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে সরাইল-ধরখার হয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীতের কাজ পেয়েছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি আশুগঞ্জ থেকে ধরখার পর্যন্ত মহাসড়কের উন্নয়ন করবে, যার দৈর্ঘ্য ৩৯ কিলোমিটার। এ অংশ নির্মাণে খরচ ধরা হয়েছে ২ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা। মহাসড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৫০ কিলোমিটার। এর মধ্যে আশুগঞ্জ-ধরখার অংশটি দুই পাশে ধীরগতির গাড়ি চলাচলের জন্য পৃথক দুটি লেনসহ মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করা হবে দুটি প্যাকেজে। প্রথম প্যাকেজে পড়েছে আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে সরাইল অংশ। প্যাকেজ-১-এ থাকা ১২ দশমিক ২১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের অংশটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৭২ কোটি টাকা। অন্যদিকে সরাইল-ধরখারের (প্যাকেজ-২) ২৭ কিলোমিটার নির্মাণে ব্যয় হবে ১ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা। এখন পর্যন্ত প্রথম প্যাকেজের কাজ হয়েছে ৬২ শতাংশ। দ্বিতীয় প্যাকেজের কাজ হয়েছে ৫২ শতাংশ। সব মিলিয়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৫০ শতাংশ।
প্রকল্পটির ব্যবস্থাপক মো. শামীম আহমেদ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘প্রকল্প নিয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে তা আমরা এখনো জানি না। এটি ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের হাতে ছিল। তারা সবাই নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে নিজ দেশে চলে গেছেন। তবে মেশিনপত্র সবই রয়েছে। ভারতীয় হাইকমিশনার এক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ঠিকাদার ও শ্রমিকরা শিগগরিই কাজে ফিরেবেন। প্রকল্প বাতিল হয়নি। তবে কবে আসবেন তা এখনো জানায়নি ভারতীয় হাইকমিশন। যেহেতু সড়কটি প্রকল্পের অধীনে ঠিকাদারের কাছে ছিল, তাই যাবতীয় রক্ষণাবেক্ষণের কাজও তাদের হাতেই ছিল।’