মিরসরাইয়ে লোকসানে কমছে পোলট্রি খামার

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে লোকসানের কারণে জ্যামিতিক হারে কমছে পোলট্রি খামারের সংখ্যা।

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে লোকসানের কারণে জ্যামিতিক হারে কমছে পোলট্রি খামারের সংখ্যা। তবে বাড়ছে গরুর খামার। মিরসরাই পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলাউদ্দিনের তথ্যমতে, মিরসরাইয়ে ২০১৯ সালে ৯৬০টি পোলট্রি খামার ছিল। তবে এখন অনেক কমে গেছে। আর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলছেন, বর্তমানে মিরসরাইয়ে বয়লার ও লেয়ারের ৫৩৯টি খামার রয়েছে। তবে পোলট্রি খামার কমেনি বলে তিনি দাবি করেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে মিরসরাইয়ের ১৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় ১১০০টি পশুর খামার রয়েছে। এসব খামারে পশু রয়েছে ৯৫ হাজার ৯০০টি। পাঁচ বছর আগে মিরসরাইয়ে পশুর খামার ছিল ৮০০টি। এছাড়া ৫১৭টি বয়লার ও ২২টি লেয়ার খামার রয়েছে। তবে পাঁচ বছর আগে কয়টি বয়লার খামার ছিল এমন তথ্য নেই প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে। কিন্তু পাঁচ বছর আগে ২৭টি লেয়ার খামার ছিল বলে জানিয়েছেন তারা। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জাকিরুল ইসলাম ফরিদের দাবি, মিরসরাইয়ে পোলট্রি খামার তেমন কমেনি।

অন্যদিকে মিরসরাই পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, ২০১৯ সালে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় ৯৬০টি বয়লার ও লেয়ার মুরগির খামার ছিল। কিন্তু খাদ্য ও ওষুধের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেক খামারি লোকসান গুনতে গুনতে খামার বন্ধ করে দিয়েছেন। কিছু খামার ধুঁকে ধুঁকে চলছে।

উপজেলা পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলাউদ্দিন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘২০১৯ সালে আমাদের অ্যাসোসিয়েশনের হিসাবমতে, মিরসরাইয়ে ৯৬০টি পোলট্রি ও বয়লার খামার ছিল। এরপর অনেক খামারি লোকসানে খামার বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে কয়টি খামার বন্ধ হয়েছে সে তথ্য নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।’

এদিকে মিরসরাইয়ে পোলট্রি খামার কমলেও বাড়ছে গরু খামার। পাঁচ বছর আগে মিরসরাইয়ের ১৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় গরুর খামার ছিল ৮০০টি। এখন সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১০০-তে।

এছাড়া ক্ষুদ্র খামার তৈরির লক্ষ্যে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে ৩৮টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পরিবারকে গাভী ও ভেড়া দেয়া হয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের দেয়া ১৯টি গাভীর মধ্যে ১৪টি গাভী এরই মধ্যে বাচ্চা প্রসব করেছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে গাভী পাওয়া করেরহাট ইউনিয়নের কয়লা ধর্মতি ত্রিপুরা জানান, তিনি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে একটি গাভী পেয়েছেন। গাভীটি এরই মধ্যে বাচ্চা প্রসব করেছে। তিনি ওই গাভীর দুধ বিক্রি করে সংসারের বাড়তি আয়ের ব্যবস্থা করেছেন।

জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জাকিরুল ইসলাম ফরিদ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘মিরসরাইয়ে গত পাঁচ বছরে প্রায় ৩০০টি গরুর খামার বেড়েছে। বর্তমানে পোলট্রি খামার রয়েছে ৫৩৯টি। তবে পোলট্রি খামার তেমন কমেনি। পাঁচ বছর আগের পোলট্রি খামারের সংখ্যা আমাদের কাছে নেই।’

আরও