আসন্ন
দুর্গাপূজা উপলক্ষে অন্যান্য বছরের মতো এবারো ভারতে গেল ইলিশ। বৃহস্পতিবার (২৬
সেপ্টেম্বর) বিকালে প্রথম চালানে ১০ জন রফতানিকারক ৫৪ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানি করেছেন।
প্রতি কেজি ১০ ইউএস ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় ১ হাজার ১৮০ টাকা মূল্যে রফতানি হচ্ছে।
দেশের
৪৯টি প্রতিষ্ঠান ইলিশ রফতানির অনুমোদন পেয়েছে। ১৩ অক্টোবরের আগেই ইলিশ রফতানি শেষ করতে
হবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
বেনাপোল
কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার সাফায়েত হোসেন জানান, ১০ জন রফতানিকারক ইলিশ রফতানি করেছেন।
এরা হলেন ম্যাপ ইন্টারন্যাশনাল, জেএস এন্টারপ্রাইজ, সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ, স্বর্ণারি
এন্টারপ্রাইজ, রুপালি এন্টারপ্রাইজ, জেবিএস ফুড প্রোডাক্টস, নোমান এন্টারপ্রাইজ, আহনাব
ট্রেডার্স, প্যাসিফিক সি ফুডস ও সুমন ট্রেডার্স। বন্দর থেকে ইলিশ ছাড়করণে সিএন্ডএফ
এজেন্ট রয়েছে বাংলাদেশ লজিস্টিক।
জানা
যায়, কলকাতার ভারতীয় মাছ আমদানিকারকদের সংগঠন ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (এফআইএ)
থেকে গত ৯ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ
থেকে ইলিশ রফতানির অনুমোদনের বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ জানানো হয়। পরে বিশেষ বিবেচনায়
সরকার ভারতে ২ হাজার ৪২০ টন রফতানির অনুমতি দেয়। যা বৃহস্পতিবার থেকে রফতানি শুরু হয়েছে।
সাধারণ
ব্যবসায়ীরা বলছেন ইলিশ রফতানি দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বাড়াতে বড় ভুমিকা রাখবে।
বেনাপোলের
ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার মাহবুবুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে ১০ জন রফতানিকারকের
৫৪ টন ইলিশ ভারতে রফতানি হয়েছে। প্রতি কেজি ইলিশ মাছের দাম ধরা হয়েছে ১০ ডলার।
বন্দর
সংশিষ্টরা জানান, ২০১২ সালে ইলিশ রফতানি বন্ধ হয়েছিল। পরে আবার রফতানি শুরু হয়। তবে
বিশেষ বিবেচনায় কেবল দুর্গাপূজাতে সুযোগ রয়েছে রফতানির। গত বছর রফতানির অনুমতি ছিল
৩ হাজার ৯০০ মেট্রিন টনের। এ বছর অনুমতি হয়েছে ২ হাজার ৪২০ টনের।
বেনাপোল
বন্দরের উপপরিচালক সজিব নাজির জানান, কাগজপত্রের কাজ শেষে পণ্যবাহী ইলিশের ট্রাক যাতে
দ্রুত ভারতে ঢুকতে পারে এ বিষয়ে সহযোগিতা করা হবে।