মহামারীতে আন্তর্জাতিক পণ্যবাজার অস্থিতিশীল

অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে আন্তর্জাতিক পণ্যবাজার। জ্বালানি থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের খাদ্য ও কৃষিপণ্যের দাম এখন বাড়তির দিকে। এমনকি দাম বাড়ছে কৃষিতে অপরিহার্য সারেরও। দেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণের তাগিদে এর মধ্যে কিছু পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। যদিও এ পদক্ষেপের বাস্তবায়নকেও কঠিন করে তুলেছে আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিতিশীলতা।

অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে আন্তর্জাতিক পণ্যবাজার। জ্বালানি থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের খাদ্য কৃষিপণ্যের দাম এখন বাড়তির দিকে। এমনকি দাম বাড়ছে কৃষিতে অপরিহার্য সারেরও। দেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণের তাগিদে এর মধ্যে কিছু পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। যদিও পদক্ষেপের বাস্তবায়নকেও কঠিন করে তুলেছে আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিতিশীলতা।

আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিতিশীলতার জন্য মূলত মহামারীকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, কভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবে বিপর্যস্ত বিশ্ব অর্থনীতি। সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে দেশে লকডাউন চলছে এখনো। ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সরবরাহ চেইনের ওপর আবারো মারাত্মক চাপের সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবেই বিভিন্ন পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার এখন অস্থিতিশীল। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব পণ্যের জন্য আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভরশীল বাংলাদেশ।

কারণে স্থানীয় বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণও এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন নীতিনির্ধারকরা। তারা বলছেন, গত বছরের শুরু থেকেই বিশ্বব্যাপী নিত্যপণ্যের সরবরাহ চেইনে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। সেখান থেকে উত্তরণের কিছুটা সম্ভাবনা দেখা দিলেও তাতে বাদ সেধেছে কভিডের নতুন সংক্রমণ প্রবাহ। অন্যদিকে বাংলাদেশে নিত্যপণ্যের বাজারে কারণে-অকারণে অস্থিরতার ঘটনাও নতুন নয়। বর্তমানে করোনা সংক্রমণের মারাত্মক ঊর্ধ্বগতি আন্তর্জাতিক মূল্য পরিস্থিতির কারণে দেশেও নিত্যপণ্যের বাজার হয়ে উঠেছে অস্থিতিশীল।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে চাল চিনি থেকে শুরু করে ভোজ্যতেল পর্যন্ত খাদ্য কৃষি খাতের সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ছে। একই পরিস্থিতি অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কয়লাসহ প্রায় সব ধরনের জ্বালানি পণ্যের ক্ষেত্রেও।

এক সময় চাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছিল বাংলাদেশ। যদিও মাঝেমধ্যেই পণ্যটি আমদানি করতে হচ্ছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছর প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) থাইল্যান্ড থেকে চালের আমদানি মূল্য ছিল টনপ্রতি ৫৪২ ডলার। গত বছরের একই সময়ে দাম ছিল ৪৬৫ ডলার। এদিকে গত দুই সপ্তাহে দেশে চালের দাম বেড়েছে কেজিতে - টাকা। দেশের চালের মজুদ কমে যাওয়া, বিগত বছরগুলোর তুলনায় উৎপাদনে পিছিয়ে থাকা এবং সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়া কার্যত ব্যর্থ হওয়ায় চলতি বছর বিশ্ববাজার থেকে চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এরপর বাংলাদেশ চাল আমদানি শুরু করলে বিশ্ববাজারেও পণ্যটির দাম বাড়তে থাকে। কারণে আমদানি শুল্ক দুই দফায় কমানো হয়েছে। তার পরও দেশের বাজারে পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যে।

প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চাল ব্যবসায়ী বাংলাদেশ রাইস মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জাকির হোসেন রনি বণিক বার্তাকে বলেন, চালে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। তার পরও আমদানির প্রয়োজন হয় সময়ে সময়ে। সরকার স্থানীয় স্বার্থ রক্ষার্থে শর্তসাপেক্ষে আমদানি করার অনুমতি দিয়ে থাকেন।

শুধু চাল নয়, সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের ক্ষেত্রেই বাজার করকাঠামো সমন্বয়ের মাধ্যমে বাজার স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

দেশে চিনির বার্ষিক চাহিদা ১৮ লাখ টন। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির গড় মূল্য ছিল টনপ্রতি ৩৫০ ডলার। যেখানে গত বছরের একই সময়ে এর দাম ছিল ৩০০ ডলার। দেশেও পণ্যটির দাম এখন ঊর্ধ্বমুখী। পাইকারি বাজারগুলোয় চিনির দাম সর্বশেষ দুই সপ্তাহে বেড়েছে কেজিতে প্রায় টাকা। এর আগে বাংলাদেশ চিনি খাদ্য শিল্প করপোরেশন ডিলার পর্যায়ে চিনির মূল্য বাড়ায় কেজিতে টাকা। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার পাইকারি বাজারে মণপ্রতি চিনি বিক্রি হয়েছে হাজার ৪০০ টাকায়।

বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স) বিশ্বজিত সাহা বণিক বার্তাকে বলেন, চিনির আন্তর্জাতিক দর ক্রমেই বাড়ছে। যে উৎসগুলো থেকে আমরা আমদানি করি, সেখানকার কভিড পরিস্থিতি মূল্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। ফলে সংকট আরো ঘনীভূত হচ্ছে। ৪১০ ডলারের পণ্য এখন দাম হয়েছে ৪৬০ ডলার। ৫০ ডলার বৃদ্ধি মানে টনপ্রতি হাজার টাকা। তবে এখনো স্থানীয় বাজারে তেমন প্রভাব না পড়লেও আগামীতে প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করছি।

অস্থিতিশীল ভোজ্যতেলের বাজারও। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে পণ্যটির গড় মূল্য ছিল টনপ্রতি ৮৯৫ ডলার। সেখান থেকে ৬৭ শতাংশ বেড়ে চলতি বছরের একই সময়ে তা বিক্রি হয়েছে প্রতি টন গড়ে হাজার ৪৯৪ ডলারে।

বাজারসংশ্লিষ্টরা জানালেন, বর্তমানে প্রতি কেজি খোলা নারিকেল তেল বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪৫০ টাকার মধ্যে। অথচ কিছুদিন আগেও তা বিক্রি হয়েছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে পাম অয়েলের গড় আন্তর্জাতিক বাজারদর ছিল টনপ্রতি হাজার ১৪ ডলার। অথচ গত বছরের একই সময়ে তা বিক্রি হয়েছে গড়ে ৭২৫ ডলারে। সে হিসেবে মহামারীর এক বছরে পণ্যটির দাম বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। আন্তর্জাতিক বাজারে দামের উল্লম্ফনের প্রভাব দেখা যাচ্ছে স্থানীয় বাজারে। দেশে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি বিক্রীত ভোজ্যতেল পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে রেকর্ড মূল্যে।

দেশে পাম অয়েলের সবচেয়ে বড় উৎস মালয়েশিয়া ইন্দোনেশিয়া। দেশ দুটি থেকে মূলত অপরিশোধিত পাম অয়েল আমদানি করা হয়। স্থানীয় রিফাইনারিতে তা পরিশোধনের পর সরবরাহ করা হয় বাজারে। দেশে বর্তমানে পাইকারিতে প্রতি মণ (৩৭ দশমিক ৩২ কেজি) পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে হাজার ২০০ টাকায়। এছাড়া অতিরিক্ত মাত্রায় পরিশোধনের মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত সুপার পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে হাজার ৪০০ টাকায়। এর পাশাপাশি পাম অয়েল থেকে উৎপাদিত পণ্য ডালডা বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি হাজার ৮০০ টাকায়। বিশ্ববাজারে দরবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ মার্চ সরকার পাম অয়েল আমদানিতে অগ্রিম শুল্ক শতাংশ কমানোর ঘোষণা দেয়। এর পরও পণ্যটির দাম বেড়েই চলেছে।

অন্যদিকে সয়াবিন তেলের আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ছিল টনপ্রতি হাজার ১২৯ ডলার। ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে দাম ছিল টনপ্রতি ৮০৮ ডলার। হিসেবে পণ্যটির দাম বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। অবধারিতভাবেই বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে স্থানীয় বাজারেও। ২০২০ সালের করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরুর দিকে পাইকারি বাজারে মণপ্রতি সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে হাজার ১০০ থেকে হাজার ৩০০ টাকায়। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে হাজার ৬০০ টাকায়। পাম অয়েলের মতো সয়াবিন আমদানির ক্ষেত্রেও শুল্ক হার কমিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু পাইকারি পর্যায়ে সয়াবিনের দাম না কমায় মোড়কজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে লিটারপ্রতি ১৩৯ টাকায়।

প্রসঙ্গত, ভোজ্যতেলের বাজারে বাংলাদেশ এখনো আমদানিনির্ভর। দেশে ভোজ্যতেলের বার্ষিক গড় চাহিদা ২০ লাখ টন। এর সিংহভাগই মেটানো হয় আমদানির মাধ্যমে।

ভোজ্যতেলের বাজার সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ অয়েল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি বিশ্বজিত সাহা দাবি করেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়লেও দেশে এর কোনো প্রভাব নেই। কারণ মন্ত্রণালয় দাম বেঁধে দিয়েছে। আমরা তার বাইরে যেতে পারছি না। আমাদের প্রস্তাব আছে দর বৃদ্ধির। অপেক্ষায় আছি সরকারের দিকনির্দেশনার।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক আদর্শ ব্রেন্টের গড় দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৬০ ডলার ৬০ সেন্ট। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে পণ্যটির গড় মূল্য ছিল প্রায় ৫০ ডলার ৫০ সেন্ট। সে হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে পণ্যটির দাম বেড়েছে ২০ শতাংশ।

অন্যদিকে গত বছরের প্রথম মাসে বিশ্ববাজারে প্রতি টন কয়লার গড় মূল্য ছিল ৬৮ ডলার। চলতি বছরের একই সময়ে তা বিক্রি হয়েছে ৮৯ ডলার ৫০ সেন্টে। এদিকে স্থানীয় বাজারেও গত এক সপ্তাহে কয়লার দামে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে। দেশের বাজারে সময়ের মধ্যে কয়লার দাম বেড়েছে টনে ৪০০-৫০০ টাকা। গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের প্রধান কয়লা বাজার মাঝিরঘাটে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আমদানীকৃত কয়লা বিক্রি হয়েছে টনপ্রতি ১১ হাজার ২০০ টাকায়। অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানীকৃত কয়লা বিক্রি হয়েছে ১৪ হাজার টাকায়।

কৃষিতে অপরিহার্য সারের আন্তর্জাতিক বাজারও এখন বেশ ঊর্ধ্বমুখী। বিশেষ করে ইউরিয়া টিএসপি সারের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বমুখিতার হার বেশি। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে বাজারে প্রতি টন ইউরিয়ার দাম ছিল ৩১৭ ডলার। গত বছরের একই সময়ে তা বিক্রি হয়েছে ২২০ ডলার। দেশের বাজারে বর্তমানে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) ইউরিয়া সার ডিলার পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৮৫০ টাকা দামে। যদিও ডিলার পর্যায়ে প্রতি বস্তা ইউরিয়ার দাম ৮০০ টাকায় বেঁধে দিয়েছে সরকার। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লেও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বা আমদানীকৃতডিলার পর্যায়ে কোনো ধরনেরই ইউরিয়া সারের দাম বাড়ায়নি সরকার।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, কেনার পর পরিবহন খরচ, ওজন কমে যাওয়াসহ নানা সংকটের কারণে বাড়তি মূল্যে ইউরিয়া সার বিক্রি করছেন তারা। এছাড়া চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ কম থাকায় স্বাভাবিক সময়েই ডিলার খুচরা পর্যায়ে নির্ধারিতের চেয়েও বেশি দামে পণ্যটি বিক্রি করতে হয় তাদের। যদিও ক্রেতাদের অভিযোগ, অতিরিক্ত মুনাফা করতেই খুচরায় নির্ধারিত দামের চেয়েও বেশি দামে পণ্যটি বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

অন্যদিকে বাজারে বর্তমানে ডিলার পর্যায়ে প্রতি বস্তা টিএসপি সার বিক্রি হচ্ছে হাজার ১০০ টাকায়। খুচরা পর্যায়ে তা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৮-৩০ টাকায়।

সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে দ্য চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম বণিক বার্তাকে বলেন, দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে বিশ্বব্যাপী পণ্যের দাম নিকটঅতীতের যেকোনো সময়ের চেয়েও বেশি। সরকার কিছু নিত্য ভোগ্যপণ্যের আমদানি শুল্ক কমিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। ভোগ্যপণ্যের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে না এলে দেশের শিল্প অবকাঠামো উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। এক্ষেত্রে করোনাকালীন দেশের নিত্যপণ্যের চাহিদা জোগান ঠিক রাখতে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনাও নেয়া প্রয়োজন।

আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাবে বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় মূল্যের অস্থিরতা নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিও। গতকাল মন্ত্রণালয়ের দ্রব্যমূল্যের প্রভাবসংক্রান্ত এক অনলাইন সভায় তিনি বলেন, ভোগ্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজারের ওপরই বাংলাদেশকে বেশি নির্ভরশীল হতে হয়। কেননা আমাদের দেশে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন যৎসামান্য। বিদেশের ওপর নির্ভর থাকলে দাম স্থির রাখাটা কঠিন হয়ে যায়। যেমনটি এবার হয়েছে ভোজ্যতেল পেঁয়াজের ক্ষেত্রে। মজুদ খোলাবাজারে বিক্রির পরও দাম আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারিনি আন্তর্জাতিক বাজারে দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে। প্রয়োজনে ভোক্তাস্বার্থ রক্ষায় ভর্তুকি দিয়ে হলেও দাম কমানোর পরিকল্পনা আছে সরকারের।

প্রসঙ্গত, বেশকিছু ভোগ্যপণ্যের চাহিদার সুযোগ নিয়ে রমজানের আগে বেশি দামে পণ্য বিক্রির প্রবণতা রয়েছে ব্যবসায়ীদের। এর পাশাপাশি কিছু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় দ্রব্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অতিমুনাফার অভিযোগও রয়েছে। অবস্থায় ভোক্তাদের সুবিধা দিতে এবার ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, খেজুর, পেঁয়াজ ডাল ছয় পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।

আরও