চট্টগ্রামের
মিরসরাইয়ে বিভিন্ন পাহাড়ে অবস্থিত পাঁচটি প্রাকৃতিক ঝরনা ক্রমে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে অসতর্কতায় বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। গত পাঁচ বছরে
উপজেলার পাঁচটি ঝরনায় নিহত হয়েছে সাত পর্যটক। আহত হয়েছে ১৫ জন। এছাড়া
৩০ পর্যটক পথভ্রষ্ট হয়েছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. কামাল হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বেশির ভাগ পর্যটক আসে সমতল থেকে। তাদের পাহাড় ও ঝরনার নিচের কূপের গভীরতা সম্পর্কে ধারণা নেই। না জেনে তারা দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে।’
মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের তথ্য মতে, ২০১৯ সালের ১৫ আগস্ট রূপসী ঝরনায় চট্টগ্রাম থেকে আসা মেহেদী হাসান (২২) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। ২০২০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর খৈয়াছড়া ঝরনায় ফেনী থেকে আসা ফয়েজ আহম্মদ নামে এক পর্যটক পা পিছলে পড়ে মারা যান। ১৭ অক্টোবর একই ঝরনা এলাকায় পা পিছলে পড়ে মারা যান আরো একজন।
২০২২ সালের ২০ জুন নাপিত্তা ঝরনার কূপে পড়ে মাসুদ আহম্মদ তানভীর ও তার ভাই তৌফিক আহম্মদ তারেক মারা যান। চলতি বছরের ২ জুলাই রূপসী ঝরনা দেখতে গিয়ে দুই পর্যটক মারা যান। তারা হলেন—চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানার ফিরোজ শাহ কলোনির জামিলের ছেলে মো. আফসার (১৫) ও একই এলাকার মো. জসীমের ছেলে আরিফ (১৮)।
পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে ঝরনার দায়িত্বে থাকা বারইয়াঢালা রেঞ্জ কর্মকর্তা একেএম আলতাফ হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘পর্যটকদের টিকিট দেয়ার সময় বিপজ্জনক স্থানগুলোয় না যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু তারা নির্দেশনা না মেনে বিপদে পতিত হচ্ছে। এছাড়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে গাইড সরবরাহ করতে নির্দেশ দেয়া রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে না যেতে ঝরনা পথে ফেস্টুন দেয়া হয়েছে।’