কক্সবাজারের টেকনাফে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে। দিনে প্রায় ১৫-১৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী এবং রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। আধা ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকার পর দুই ঘণ্টার জন্য সরবরাহ বন্ধ থাকছে, যা পুরো উপজেলার মানুষের জন্য অসহনীয় হয়ে উঠেছে।
বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করলেও কর্মকর্তারা সাড়া দিচ্ছেন না। এমন অবস্থায় ক্ষোভ প্রকাশ করে শাহপরীর দ্বীপ এলাকার গৃহিণী জয়নাব বেগম বলেন, বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ফ্রিজের খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, আইপিএস চার্জ করা যাচ্ছে না। এভাবে চলা সম্ভব নয়।
অটোরিকশা চালক বশির আহমদও জানান, চার্জ দিতে না পারায় তাদের গাড়ি চলাচলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এতে আয়ও কমে গেছে।
হ্নীলা রঙ্গিখালীর ব্যবসায়ীরা জানান, লোডশেডিংয়ের কারণে তাদের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মোর্শেদ আলম বলেন, দ্রুত সময়ে এ সমস্যার সমাধান করা না হলে ছাত্রজনতা মাঠে নামতে বাধ্য হবে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আবুল বাশার আজাদ বলেন, জাতীয় পর্যায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন কম এবং পাওয়ার গ্রিডের টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে এই সংকট হচ্ছে। দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে।