ঈদের আগের দিন কুষ্টিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে চার জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার বিকালে সদর উপজেলার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থানাধীন ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আস্থানগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় দুই নেতার প্রভাব বিস্তারের দ্বন্দ্বে এ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আস্তানগর গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে কাশেম( ৫০) মো. দাদ মন্ডলের ছেলে লাল্টু (৩০), আবুল মালিথার ছেলে রহিম (৫০) ও আফজাল মন্ডলের ছেলে মতিয়ার (৪০)।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে ঝাউদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান কেরামত আলী বিশ্বাসের সাথে আরেক স্থানীয় আওয়ামীগ নেতা ফজলু মন্ডলের বিরোধ চলে আসছিলো।
আজ সোমবার ইফতারের আগে কেরামত আলী বিশ্বাসের লোকজন ফজলু মন্ডলের লোকজনের সাথে স্থানীয় একটি বাজারে তর্কে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে কেরামতের লোকজন ফজলুর লোকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে উভয় গ্রুপ মারামারির প্রস্তুতি নেয়। এরপর ইফতার শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আধ ঘণ্টার সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই আহত হন উভয় পক্ষের প্রায় ১৯ জন। এদের মধ্যে ঘটনাস্থলে মারা যান ৪ জন। আহত অন্তত পনেরো জনকে চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকা জুড়ে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।