মাধ্যমিক শিক্ষকদের বেতনে বাংলাদেশ সবার নিচের দিকে

দেশের নতুন শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিক স্তরে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ফিনল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর শিক্ষাব্যবস্থার আদলেই নতুন এ শিক্ষাক্রম তৈরি করা হয়েছে। স্কুলগুলোয় এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন শিক্ষকরা। তবে শিক্ষাক্রমের ক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলোকে অনুসরণ করা হলেও এসব শিক্ষকের বেতন ও সুযোগ-

দেশের নতুন শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিক স্তরে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ফিনল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর শিক্ষাব্যবস্থার আদলেই নতুন এ শিক্ষাক্রম তৈরি করা হয়েছে। স্কুলগুলোয় এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন শিক্ষকরা। তবে শিক্ষাক্রমের ক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলোকে অনুসরণ করা হলেও এসব শিক্ষকের বেতন ও সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।

বাংলাদেশে এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষকদের প্রবেশন পর্যায়ের ন্যূনতম বেতন হয় সব মিলিয়ে ১৪ হাজার টাকা (গতকালের বিনিময় হার অনুযায়ী ১১৯ ডলার ৩২ সেন্টের সমপরিমাণ)। পেনশনের জন্য ১০ শতাংশ হারে মূল বেতনের ১ হাজার ২৫০ টাকা কেটে নেয়ার পর দাঁড়ায় ১২ হাজার ৭৫০ টাকা।

অপরদিকে ফিনল্যান্ডের শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ফিনল্যান্ডে স্থানীয় মুদ্রায় নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের একজন শিক্ষকের সর্বনিম্ন মাসিক বেতন প্রায় ৩ হাজার ৩১৮ ডলারের সমপরিমাণ। বাংলাদেশের শিক্ষকদের তুলনায় এ বেতন প্রায় ২৮ গুণ বেশি। এছাড়া বাংলাদেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের শিক্ষকদের বেতন যথাক্রমে প্রায় ৩০ ও ২১ গুণ বেশি। শুধু এ তিন দেশ নয়; মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষকদের সরকারি বেতন বিবেচনায়, বাংলাদেশ এশিয়া তথা গোটা বিশ্বেই সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর অন্যতম। 

দেশে সরকারি কোষাগার থেকে যেসব শিক্ষক বেতন পেয়ে থাকেন, তাদের মধ্যে ৮৫ শতাংশই এমপিওভুক্ত। এ শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে যোগদান করেন। আর সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যোগদান করেন দশম গ্রেডে। তাদের যোগদানের পর সর্বসাকুল্যে বেতন হয় ২৭ হাজার ১০০ টাকা। আর অধিকাংশ বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চেয়েও কম বেতন পান।

শিক্ষকদের অনেকেই বলছেন, বিশ্বজুড়ে শিক্ষকতা সবচেয়ে সম্মানজনক ও আকর্ষণীয় পেশা হলেও বাংলাদেশের চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। তারা অন্য কোনো কাঙ্ক্ষিত পেশা না পেয়ে এখানে আছেন। এমনই একজন মো. মোস্তাফিজুর রহমান (ছদ্মনাম)। গাজীপুরের একটি এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে ২০২৩ সালে যোগদান করেন তিনি। দেশের একটি স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। স্বপ্ন ছিল পড়াশোনা শেষে পরিবারের হাল ধরবেন। তবে শিক্ষকতায় যোগদান করেও সে স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি। 

মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘পরিবারের পাশে দাঁড়ানো দূরে থাক, নিজের খরচ চালাতেই হিমশিম খেতে হয়, বাধ্য হয়ে টিউশন শুরু করেছি। চাকরির বেতন আর টিউশনের টাকা মিলিয়ে কোনোমতে দিন পার করছি। এখন একমাত্র লক্ষ্য হলো যেকোনো মূল্যে একটা ভালো সরকারি চাকরি পাওয়া।’

এ অবস্থা দেশের অধিকাংশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী দেশে মাধ্যমিক স্কুলগুলোয় মোট শিক্ষক রয়েছেন ২ লাখ ৪৬ হাজার ৭৮৪ জন। তাদের মধ্যে সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ১৩ হাজার ৯৮০ জন এবং বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ২ লাখ ৩২ হাজার ৮০৪ জন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) তথ্য অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে ৮০ হাজার ৮০৬ জন এমপিওভুক্ত।

মাউশির মাধ্যমিক শাখার পরিচালক প্রফেসর সৈয়দ জাফর আলী বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বাংলাদেশে শিক্ষকদের বেতন এশিয়ায় সবচেয়ে কম, এ বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশের সুযোগ নেই। আমাদের দেশে শিক্ষকদের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নেই; এ আলোচনা দীর্ঘদিনের। আমরাও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে প্রায় প্রতিটি বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করি। কারণ শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত ছাড়া মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত অসম্ভব। সরকারও এ বিষয়ে ইতিবাচক। আশা করা যায় আস্তে আস্তে এ সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।’

এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশের মাধ্যমিক শিক্ষকদের বেতনের সঙ্গে তুলনা করে দেখা গেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত কয়েকটি দেশ ছাড়া প্রায় সব দেশের শিক্ষকের বেতন বাংলাদেশের তুলনায় বেশি। বেতন কাঠামো বিবেচনায় এশিয়ার ৪৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৪৪তম। 

এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি বেতন পান সিঙ্গাপুরের শিক্ষকরা। সিঙ্গাপুরের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী দেশটির মাধ্যমিকের শিক্ষকদের প্রবেশন পর্যায়ের মূল বেতন প্রায় ৪ হাজার ৮০ ডলারের সমান। এর সঙ্গে আরো বেশকিছু ভাতা যুক্ত হয়ে শিক্ষকদের ন্যূনতম বেতন দাঁড়ায় প্রায় ৫ হাজার ৩০০ ডলারের সমতূল্যে। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ওমান। দেশটিতে প্রবেশন পর্যায়ে মাধ্যমিক শিক্ষকদের ন্যূনতম বেতন ৪ হাজার ১৯০ ডলারের সমান। এছাড়া তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম অবস্থানে আছে যথাক্রমে সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, জাপান ও চীন।

দেশে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে এমপিও তালিকার বাইরে থাকা বেসরকারি স্কুলগুলো। বিভাগীয় ও জেলা শহরের কিছু স্বনামধন্য বিদ্যালয় ছাড়া অধিকাংশ বেসরকারি বিদ্যালয়ই প্রবেশন পর্যায়ে শিক্ষকদের ১০-১২ হাজার টাকা বেতন দেয়। এমনকি কোনো কোনো স্কুলে বেতন নিয়মিত নয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।

দিনাজপুরের একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক সানজিদা জাহান বলেন, ‘স্নাতক শেষের পর চাকরি পাচ্ছিলাম না। পরে বেসরকারি একটি স্কুলে যোগদান করি। কিন্তু স্কুল থেকে আমার বাড়ি বেশ দূরে এবং বেতন ছিল মাত্র ১০ হাজার টাকা। দিনাজপুরে থাকা-খাওয়ায়ও এর চেয়ে বেশি খরচ হচ্ছিল। এক পর্যায়ে আমি চাকরিটি ছেড়ে দেই।’

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মাধ্যমিক শিক্ষকদের সরকারি বেতন কাঠামোর সঙ্গে তুলনা করে দেখা গেছে, এ অঞ্চলের আট দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম বেতন পাচ্ছেন বাংলাদেশের শিক্ষকরা। এ অঞ্চলে শিক্ষকদের বেতনে সবচেয়ে এগিয়ে আছে মালদ্বীপ। সরকারি তথ্য অনুযায়ী দেশটিতে ২০২২ সালে শিক্ষকদের বেতন বাড়িয়ে প্রায় ১ হাজার ২৭৮ ডলারের সমপরিমাণ করা হয়। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। ভারতে রাজ্য অনুযায়ী শিক্ষকদের বেতনে ভিন্নতা রয়েছে। তবে দেশটির সরকারি পে স্কেল অনুযায়ী মূল বেতন ও অন্যান্য ভাতাসহ শিক্ষকদের প্রবেশন পর্যায়ের ন্যূনতম বেতন ৫১০ ডলার ৬২ সেন্টের সমান। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভুটান। দেশটিতে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা সাধারণত প্রবেশন পর্যায়ে পি-৫ ক্যাটাগরিতে বেতন পান এবং সর্বসাকুল্যে তাদের বেতন প্রায় ৩৫৮ ডলার ৮২ সেন্টের সমান। চতুর্থ অবস্থানে আছে নেপাল। দেশটিতে নিম্ন মাধ্যমিকে প্রবেশন পর্যায়ে শিক্ষকরা প্রায় ৩৩০ ডলারের সমতুল্য বেতন পেয়ে থাকেন।

বাংলাদেশের চেয়ে শিক্ষকদের প্রবেশন পর্যায়ের বেতনে এগিয়ে আছে পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও আফগানিস্তানও। পাকিস্তানের শিক্ষকরা বিপিএস-১৬ গ্রেডে বেতন পান এবং সর্বসাকুল্যে একজন মাধ্যমিক শিক্ষকের প্রবেশন পর্যায়ের বেতন প্রায় ১৩৯ দশমিক ৩৭ ডলারের সমান। শ্রীলংকায় স্নাতক যোগ্যতাসম্পন্ন একজন শিক্ষকের বেতন ১৩৯ দশমিক ৩৭ ডলারের সমতুল্য। এছাড়া বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী আফগানিস্তানে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের বেতন ১২৫ ডলারের সমতুল্য।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেশ এগোলেও শিক্ষকদের যথাযথ বেতন ও সম্মান দিতে পারেনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের অধ্যাপক ড. এম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘দেশে জিডিপির বিপরীতে শিক্ষা খাতে বাজেট প্রতি বছর কমেছে। এখন তা ১ দশমিক ৭৯ শতাংশে নেমে এসেছে। উপমহাদেশে সবচেয়ে কম আমরা। ভারতের জিডিপি আমাদের থেকে অনেক বড়। সেখানেও শিক্ষায় ২ দশমিক ৯ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হয়। আমি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব থাকাকালে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কনভেনশন করেছিলাম। সেখানে আমরা দেখেছি, বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের শিক্ষকরা সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত। যেখানে ইথিওপিয়ার মতো দেশেও শিক্ষকদের আলাদাভাবে মূল্যায়ন করা হয়।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘শিক্ষকদের উন্নয়ন করতে না পারলে দেশের কোনো অগ্রযাত্রা টেকসই হবে না। আমরা মধ্যম আয়ে উন্নীত হচ্ছি, উন্নত হতে চাই। তার জন্য বঙ্গবন্ধু যে শিক্ষানীতি করেছিলেন, অবিলম্বে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। শিক্ষকদের মনের মধ্যে যদি হীনম্মন্যতা থাকে তাহলে একটি দেশ এগিয়ে যাবে কীভাবে? শিক্ষকদের আত্মমর্যাদা, সম্মান, আত্মবিশ্বাস না থাকলে জাতি এগিয়ে যেতে পারবে না।’ 

এদিকে মাধ্যমিক পর্যায়ে বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বড় অংশই বেসরকারি। এসব প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়। তবে বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষকদের সন্তোষজনক বেতন কাঠামো না থাকায় বিজ্ঞপ্তিগুলোয় শূন্য পদের চেয়েও কম আবেদন পড়ছে। এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ মার্চ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬টি পদে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আবেদনের মেয়াদ শেষ হয় ১৬ মে। এক মাস সময় দেয়া হলেও এ সময়ে আবেদন করেছেন মাত্র ২৩ হাজার ৯৩২ জন প্রার্থী। 

বেতন কাঠামোর জন্য এ পেশায় কেউ থাকতে চাচ্ছেন না উল্লেখ করে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওসার আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে সবচেয়ে বেশি দরকার মেধাবী শিক্ষক। বিশেষত নতুন কারিকুলামে দক্ষ শিক্ষক অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু বাংলাদেশে এখন আর মেধাবীরা মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকতায় আসতে চান না। কারণ যেকোনো পেশায়ই আর্থিক নিশ্চয়তা গুরুত্বপূর্ণ। যখন আর্থিক সক্ষমতা থাকে না তখন সমাজেও সম্মানজনক অবস্থান থাকে না। মাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিওভুক্ত স্কুলগুলোয় বেতন মাত্র ১৮ হাজার টাকা আর নন এমপিওতে আরো কম। এ বেতন দিয়ে তো কারো পরিবার নিয়ে টিকে থাকা সম্ভব না। তাই এখন মেধাবীরা এসব প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন না, কেউ কেউ যোগদান করলেও সাময়িক সময়ের জন্য করেন এবং অন্য চাকরিতে চলে যান।’

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার এমপি বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আগেই বলে গিয়েছেন শিক্ষার উন্নয়ন নিশ্চিতে অবশ্যই শিক্ষকদের বেতন ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীও বিষয়গুলোয় আন্তরিক ও ইতিবাচক। সরকার বাংলাদেশের সব সমস্যাই সমাধানে সচেষ্ট। কিন্তু অনেক সময় হয়তো আমাদের সক্ষমতায় কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। শিক্ষকদের বেতনের বিষয়টিও এর বাইরে নয়।’

আরও