ঘূর্ণিঝড় দানা ভারতের ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করলেও পটুয়াখালীতে এর প্রভাব পড়েছে। উপকূলীয় এলাকায় রেখে গেছে ক্ষতচিহ্ন। বিধ্বস্ত হয়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি, উপড়ে পড়েছে গাছপালা। আহত হয়েছেন ৪ জন। তবে কৃষি খাতে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার দেউলী গ্রামের ৭টি বসতঘর পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়। এছাড়া কলাপাড়া উপজেলার তাহেরপুর গ্রামের ১০টি বসতঘর ও রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়ায় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় চারজন আহত হয়। এদের মধ্যে দেউলী গ্রামের রুনা বেগম নামের এক নারীর পা ও তাহেরপুর গ্রামের মনোয়ারা বেগম নামে এক নারীর হাত ভেঙে যায়। এছাড়া উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। এদিকে কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের গইয়তলা গ্রামের বেড়িবাঁধ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।
পটুয়াখালী জেলা কৃষি অফিসার বলেন, এ ঘূর্ণিঝড়ে কৃষির তেমন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। জলোচ্ছ্বাস হলে পানি জমে থাকলে হয়তো কিছুটা ক্ষতি হতে পারত ফসলের।
পটুয়াখালী জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো পরিদর্শন করে মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।
জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন জানান, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা হবে।