সাতক্ষীরায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিটি ডিমের দাম ৫০-৮০ পয়সা পর্যন্ত বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেড়েছে। এছাড়া জেলার উৎপাদিত ডিমের বড় অংশ চলে যাচ্ছে বাইরে। এ কারণেও দাম বেড়েছে বলে জানান পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। গতকাল সাতক্ষীরা জেলা সদরের সুলতানপুর বড় বাজারের কয়েকটি ডিমের আড়ত ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।
অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়ায় এমনিতেই বিপাকে পড়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবার। এর মধ্যে রমজানের আগেই ডিমের দাম বাড়ায় অস্বস্তি বেড়েছে তাদের।
শহরের কুখরালীর বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম জানান, রমজানের আগেই ডিমসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণে দরিদ্র বা মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ বিপাকে পড়েছে। যাদের মাছ মাংস কেনার সামর্থ্য নেই তারা অন্তত ডিম বা সবজি দিয়ে সংসারের চাহিদা মেটায়। কিন্তু রমজানের আগেই হঠাৎ ডিমসহ অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। যা নিম্ন বা মধ্যবিত্ত পরিবারকে আরো চাপে ফেলে দিয়েছে।
সুলতানপুর বড় বাজারের মেসার্স সাদিয়া এন্টারপ্রাইজে গতকাল ফার্মের লাল ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতিটি ১০ টাকা, ফার্মের সাদা ডিম ৯ ও দেশী মুরগির ডিম প্রতিটি ১৩ টাকা ৫০ পয়সা। অথচ এক সপ্তাহে আগেও এ প্রতিষ্ঠানে ফার্মের লাল ডিম ৯ টাকা ২০ পয়সা, সাদা ডিম ৮ টাকা ৫০ ও দেশী মুরগির ডিম প্রতিটি ১২ টাকা ৩০ পয়সা দরে বিক্রি হয়েছে।
হঠাৎ দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানান, রমজান উপলক্ষে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ডিমের একটি বড় অংশ চলে যাচ্ছে রাজধানীর বাজারে। ফলে স্থানীয় বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে গেছে। এ কারণে দাম বেড়েছে ডিমের।
সুলতানপুর বড় বাজারের পাইকারি ডিম বিক্রেতা মো. মনিরুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘জেলার অধিকাংশ ফার্মে ডিমের দাম বেড়েছে। পাইকারিতে প্রতিটি ডিমে ৫০-৬০ পয়সা পর্যন্ত বেড়েছে। যার প্রভাব খুচরা বাজারেও পড়েছে।’
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘গতকাল সকালে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে মাসিক কৃষি বিপণন ও আইন-শঙ্খলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় রমজান উপলক্ষে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডিমসহ অন্য নিত্যপণ্যের দাম বাড়ালে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ তবে হঠাৎ করে ডিমের দাম কেন বাড়ল তা খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।