খোঁজ মিলল অষ্টম হেনরির হারানো ছবির

রাজা অষ্টম হেনরির একটি ছবির খোঁজ পাওয়া গেছে। ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেখে এটিকে অষ্টম হেনরির হারানো ছবি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন একজন শিল্প গবেষক।

রাজা অষ্টম হেনরির একটি ছবির খোঁজ পাওয়া গেছে। ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেখে এটিকে অষ্টম হেনরির হারানো ছবি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন একজন শিল্প গবেষক। তার নাম অ্যাডাম বুসিয়াকিউইচ। তিনি একজন ব্রিটিশ ফাইন আর্টস রিসার্চার। অবসরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স স্ক্রল করার সময় ছবিটি তার নজরে আসে। পেইন্টিংটির একটি ফটোগ্রাফ পোস্ট করেছিলেন ‘ওয়ারউইকশায়ারের লর্ড লেফটেন্যান্ট’ (মধ্য ইংল্যান্ডে ব্রিটিশরাজকে প্রতিনিধিত্বকারী সাম্মানিক পদ) টিম কক্স। ওয়ারউইকশায়ারের শায়ার হলে একটি প্রদর্শনীতে ছবিটি ছিল। সেখানেই অ্যাডামের চোখে পড়ে এটি।

টিউডর শাসনামলের রাজা ছিলেন অষ্টম হেনরি। অ্যাডাম তার ব্লগে জানান, ছবিটি দেখার পরই তার মনে পড়েছিল ষোড়শ শতাব্দীতে অঙ্কিত ২২টি ছবির একটি সিরিজের কথা। এটি ১৫৯০ খ্রিস্টাব্দের দিকে একজন স্থানীয় রাজনৈতিক ও ট্যাপেস্ট্রি নির্মাতার অধীনে অঙ্কিত হয়েছিল।

অ্যাডাম জানান, র‍্যালফ শেলডন বেশকিছু ছবি আঁকার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এর বেশির ভাগই ছিল রাজা-রাজড়াদের নিয়ে। এছাড়া ছিল তার সময়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পোর্ট্রেট। তিনি নিজের বাড়িতে রাখার জন্যই ছবিগুলো তৈরি করিয়েছিলেন। ছবিগুলো চেনার বা চিহ্নিত করার একটা বড় উপায় হচ্ছে এর ওপরের দিকে বসানো এক ধরনের খিলান, কেননা এটি সে সময়ের বাড়ির নকশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল। অ্যাডাম সিএনএনকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলেন এবং সেখানে জানিয়েছিলেন ছবির ওপরের অংশটি শেলডন সেটের বিশেষত্ব। এ থেকেই ওই সিরিজকে চেনা যায়।

সিএনএনের সঙ্গে একটি টেলিফোন কলে তিনি জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সূত্রেই তিনি ছবিটির কথা জানতে পেরেছেন। এবারই প্রথম না, এর আগে ২০১৮ সালেও তিনি একটি ছবির খোঁজ পান। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম একটা অদ্ভুত বিষয়। কেউ এখানে এসে বিড়ালের ভিডিও দেখে। অনেকে দুনিয়ার হালচাল জানতে চায়। আর আমার মতো লোকেরা দেয়ালের দিকে তাকিয়ে থাকে নতুন কোনো আবিষ্কারের আশায়।’

অ্যাডাম এ ছবি চিহ্নিত করার পর বিষয়টি ওয়ারউইকশায়ার কর্তৃপক্ষও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখেছে। তারা ছবিটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন। সেজন্য ছবিটি রাখা হয়েছে তাদের জাদুঘরে। ওয়ারউইকশায়ারের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘অ্যাডাম ছবিটি আবিষ্কারের পর তারা আমাদের বিষয়টি জানান। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর আমরা পেইন্টিংটি জাদুঘরে স্থানান্তর করি। ছবিটি নিয়ে আলাদা করে বিশেষভাবে গবেষণা করা হবে।’

এদিকে অ্যাডাম নিজেও ছবিটি নিয়ে গবেষণা করছেন। তাকেও জানতে হবে ছবিটি আসলেই শেলডনের সময়ের কিনা। তিনি নিশ্চিত এটি শেলডনের সিরিজেরই ছবি। তবু এর সময়কাল ও ছবিটি নিয়ে আরো তথ্য জানার চেষ্টা করছেন তিনি।

আরও