ভ্যান গঘের ছবির দাম হতে পারে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা

ভিনসেন্ট ভ্যান গঘের ছবি ‘লা ক্যানো আমারেঁ’। ছবিটি বারবন টু সিসিলি রাজপরিবারের কাছে ছিল। সম্প্রতি ছবিটি তোলা হচ্ছে নিলামে।

ভিনসেন্ট ভ্যান গঘের ছবি ‘লা ক্যানো আমারেঁ’। ছবিটি বারবন টু সিসিলি রাজপরিবারের কাছে ছিল। সম্প্রতি ছবিটি তোলা হচ্ছে নিলামে। ক্রিস্টি’জ তুলছে নিলামে। ক্রিস্টি’জ-এর টোয়েন্টি/ টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি ইভনিং আর্ট সেলে আনা হচ্ছে। হংকংয়ে হবে প্রদর্শনীটি, সঙ্গে থাকছে নিলাম। সেখানেই ছবিটি ৫ কোটি ডলারে বিক্রি হতে পারে বলে ধারণা করছে নিলামকারী প্রতিষ্ঠান।

ছবিটি ভ্যান গঘ এঁকেছিলেন প্যারিসে থাকতে। তিনি প্যারিসে অবস্থান করেছিলেন দুই বছর। সে সময়েই ছবিটি আঁকেন। স্পষ্ট করে বললে, ছবিটি আঁকা হয় ১৮৮৭ সালে। এতে দেখা যায় একটি নদী। উঁচু পাড় সে নদীর, নীল পানি। পাড়ঘেঁষে বেঁধে রাখা হয়েছে অনেকগুলো নৌকা। আর পাড়ে ফুটে আছে ঘাস ও জংলি ফুল। পানির রঙ সম্ভবত আকাশের সঙ্গে মিলিয়ে এঁকেছিলেন গঘ।

ছবির সঙ্গে আছে দারুণ একতা ফ্রেম। সোনালি ফ্রেমটি অবশ্য এখন কালের বিবর্তনে ভিন্ন রঙ ধরেছে। তবে ফ্রেমের কারুকাজও চোখে পড়ার মতো। 

এর আগেও ভ্যান গঘের বেশকিছু ছবি বিক্রি হয়েছিল বেশ ভালো দামে। তার মধ্যে বিশেষ করে উল্লেখ করা যায় সথবি’স-এর হংকং সেলে বিক্রি হওয়া ‘স্টিল লাইফ: ভাস উইথ গ্ল্যাডিওলি’র নাম। তবে ছবিটি তুলনামূলক কম দামেই বিক্রি হয়েছিল। এর দাম উঠেছিল ৯০ লাখ ডলারের মতো।

ভ্যান গঘের ছবি বিক্রির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। তবে এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আসলে নিলামের স্থান। হংকংয়ে হচ্ছে ক্রিস্টি’জ-এর নিলাম। নিলাম সংস্থাগুলো কয়েক বছর ধরে গবেষণা করছিল এশিয়ার বাজার নিয়ে। সাধারণত ইউরোপের বাজারেই ভালো বিক্রি হয় অ্যান্টিক ও দুষ্প্রাপ্য ছবি। সেখান থেকে সরে এসে এখন নিলামের বাজার বেড়েছে এশিয়ায়ও। তবে এমন বাজার যে আগে ছিল না তাও নয়। বেশ আগে থেকেই এশিয়ার বাজারেও ছবি ও অন্যান্য দুষ্প্রাপ্য বস্তু ভালো দামে বিক্রি হয়। তবে সেসব ছিল অনেক ক্ষেত্রেই গোপন ব্যবসা, ক্ষেত্রবিশেষে কালোবাজারি। সেখান থেকে সরে এসে এখন বৈধ পন্থা পেল অ্যান্টিকের ব্যবসা। 

তবে আরেকটি প্রশ্ন আসে। ছবিটি নিলামে তুলল কারা? এক্ষেত্রে জানা যায়, বারবনের রাজপরিবারের সঙ্গে যুক্ত একটি ট্রাস্ট এ ছবি নিয়ে কাজ করেছে। তারাই ছবিটি খুঁজে পেয়ে পৌঁছে দিয়েছে ক্রিস্টি’জ-এর কাছে।

সূত্র ও ছবি: আর্ট নিউজ

আরও