নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্লাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ সারা দেশে করা হবে ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’। সর্বস্তরের জনগণকে তা সফল করার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুল কাদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সমন্বয়ক জানান, শুক্রবার দেশব্যাপী ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। গত কয়েকদিন আন্দোলনকারীদের সমন্বয়কদের মধ্যে একেকজন একেক দিন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করছেন। শুক্রবার মসজিদ, মন্দির, গির্জাসহ সব উপাসনালয়ে প্রার্থনা এবং জুমার নামাজ শেষে ছাত্র ও জনতার গণমিছিলের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীদের এ সমন্বয়ক।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শ্রমিক, পেশাজীবী, সংস্কৃতিকর্মী, সংবাদমাধ্যমকর্মী, মানবাধিকারকর্মী, বুদ্ধিজীবী, আলেম-ওলামাসহ দেশের সর্বস্তরের নাগরিকদের এ কর্মসূচি স্বতঃস্ফূর্তভাবে সফল করার আহ্বান জানাই। আমাদের আন্দোলন আপনার ও আপনার সন্তানের মুক্তির জন্য। কী অপরাধ ছিল আমাদের? সাংবিধানিক অধিকার চাওয়াটা কি আমাদের অপরাধ? কী অপরাধে শত শত ভাইকে হত্যা করা হলো? আমরা এর জবাব জানি না। কিন্তু এর জবাব ও বিচার না নিয়ে আমরা আমাদের আন্দোলনকে থামাব না।
বিজ্ঞপ্তিতে মসজিদের ইমাম ও খতিবদেরও এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, ছাত্রসমাজ ঘরে শান্তিতে ঘুমাতে পারছে না। প্রতি মুহূর্তে তাদের গ্রেফতার ও গুম হওয়ার আতঙ্কে সময় কাটাতে হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের সমর্থনকারী ছাত্র-জনতা কাউকে পেলেই গ্রেফতার করে নির্যাতন চালাচ্ছে। পরবর্তী সময়ে বাছাই করে পাড়া-মহল্লায় রেড দিয়ে গণগ্রেফতারের নামে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। গুম করার হুমকি দিয়ে আদায় করছে মোটা অংকের অর্থ। আগামীর বাংলাদেশ গড়ার কারিগর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকমণ্ডলীর ওপর ক্যাম্পাসের ভেতরে হামলা করেছে পুলিশ। আন্দোলনে অংশ নিয়ে নিহত, আহত, পঙ্গু ও গ্রেফতার হওয়া সবার স্মরণে নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক শেহরীন আমিন মোনামী ও নুসরাত জাহান চৌধুরীর ওপর ‘পুলিশের হামলার’ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।