মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দাবি অসাংবিধানিক ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ওপর বিদেশী হস্তক্ষেপে তার বিবৃতি রাষ্ট্রদোহিতার শামিল।’
গতকাল দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন আদালতে যখন ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের মামলা চলছে, তখন চলমান বিচার থেকে বাঁচার জন্য তিনি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। তার এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা ও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানাচ্ছে আওয়ামী লীগ।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ড. ইউনূস অতিসম্প্রতি একটা বিবৃতিতে বাংলাদেশের ওপর হস্তক্ষেপ করার জন্য বিভিন্ন দেশের সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছেন। তার এ ধরনের বিবৃতি বা মন্তব্য বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রদ্রোহিতার পর্যায়ে পড়ে এবং আন্তর্জাতিক আইনেরও চরম লঙ্ঘন। তিনি বাংলাদেশের মধ্যবর্তী নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য বিভিন্ন দেশের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছেন। তার এ ধরনের কথাবার্তা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ও বেআইনি। তার এ আহ্বান বাংলাদেশকে ছোট করেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। তিনি একজন নোবেল বিজয়ী। বাংলাদেশকে হীন করা তার পক্ষে কি শোভা পায়?’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক নির্বাচনে সাংবিধানিকভাবে বৈধ সরকার। সরকারের পরিবর্তন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই হওয়া সম্ভব।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর আছে, আন্দোলনকারীদের মিছিলে জঙ্গিগোষ্ঠী অনুপ্রবেশ করে খুব কাছ থেকে গুলি করেছে। সেখানে হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারটাও ভাবতে হবে।’ দেখামাত্র গুলির নির্দেশ নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে বলে জানান সেতু মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এ নির্দেশ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেয়া হয়নি। সেনাবাহিনী একটি গুলিও ছোড়েনি। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে তদন্ত হবে এবং হত্যাকারীদের চিহ্নিত করা হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আমাদের আহ্বান, নিরপরাধ কাউকে কোনো প্রকার হয়রানি যেন না করা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সবাইকে নিজ নিজ এলাকায় দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।’