সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া এখন বিপদের কারবার। সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে কিছু বললে আবার রাইটস টু ফ্রিডম নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।’ সুপ্রিম কোর্টের সাত আইনজীবীর আদালত অবমাননা মামলা শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান গতকাল এ মন্তব্য করেন।
সাত আইনজীবীর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। সাত আইনজীবীর বিষয়ে শুনানির দিন পিছিয়ে ২২ আগস্ট ধার্য করে গতকাল আদেশ দেন আপিল বিভাগ। গত ১২ জুন সুপ্রিম কোর্টের সাত আইনজীবীকে আদালত অবমাননা মামলায় ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
সাত আইনজীবী হলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, এজে মোহাম্মদ আলী, ফাহিমা নাসরিন, মো. আবদুল জব্বার ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও গাজী কামরুল ইসলাম। এই সাত আইনজীবী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের দুজন বিচারপতি সম্পর্কে এক সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যের সূত্র ধরে এই সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে গত বছরের ২৯ আগস্ট আদালত অবমাননার অভিযোগে আবেদন করা হয়। আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. নাজমুল হুদা।
শুনানি নিয়ে গত বছর ১৫ নভেম্বর আপিল বিভাগ আদেশ দেন। সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যের সূত্র ধরে আদালত অবমাননার আবেদনে যে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, সে বিষয়ে নিজেদের ভূমিকা ব্যাখ্যা করতে এই সাত আইনজীবীকে ১৫ জানুয়ারি সকাল ৯টায় আপিল বিভাগে (১ নম্বর কোর্টে) হাজির হতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। ধার্য তারিখে তারা আদালতে হাজির হন।
আদালত অবমাননার আবেদনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে গত বছরের ২৭ আগস্ট সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যের কয়েকটি লাইন উদ্ধৃত করা হয়। বিচারপতিদের নিয়ে ব্যানার-লিফলেটসহ বিএনপি পন্থী আইনজীবীদের মিছিল-অবস্থানের ছবিও আবেদনে যুক্ত করা হয়।