দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি-বেসরকারি কয়েকটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত বৈঠকে যেকোনো পরিস্থিতিতে এমডিদের মনোবল চাঙ্গা রাখার পরামর্শ দেন গভর্নর। পাশাপাশি সাম্প্রতিক অস্থিরতায় ব্যাংক খাতের ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতদের বিষয়ে খবর নেন। এ সময় ইন্টারনেট ছাড়া বিকল্প উপায়ে সারা দেশে ব্যাংকিং সেবা কীভাবে সার্বক্ষণিক সচল রাখা যায়, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বলে বৈঠকে জানানো হয়।
বৈঠকে বিভিন্ন ব্যাংকের এমডিদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সাম্প্রতিক অস্থিরতায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের চারজন মারা গেছেন। এর মধ্যে তিনজন ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের অস্থায়ী কর্মচারী ছিলেন বলে ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে। অন্যজন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের। তবে ব্যাংক খাতে সম্পদের বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এক-দুটি এটিএম ও শাখা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এমডিরা গভর্নরকে জানান, ব্যাংক বন্ধ থাকলেও এটিএম সেবা চালু ছিল। তবে ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে অনলাইন ব্যাংকিং সেবা ব্যাহত হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ইন্টারনেট ছাড়া বিকল্প উপায়ে ব্যাংকিং সেবা চালু রাখা নিয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ব্যাংকিং সেবার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা আছে। এটা পৃথক লাইন বা ইন্টারনেট ছাড়া কেবল লাইন দিয়ে হতে পারে। সভায় সরকারি খাতের সোনালী ব্যাংক, বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা, দ্য সিটি, ইস্টার্ন, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, ব্র্যাক, ব্যাংক এশিয়া, প্রাইম ও ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আরএফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এবার আমাদের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ব্যাংকসংশ্লিষ্ট চারজন মারা গেছেন। ব্যাংকের সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট নির্ভরতার পরিবর্তে অন্যভাবে চালানো যায় কিনা তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টা দেখছে।’
এক
প্রশ্নের জবাবে সেলিম আরএফ হোসেন বলেন, ‘প্রবাসী আয় বাড়বে-কমবে।
এ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। এবার ব্যবসায় তেমন ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এর পরও এটাকে
কেন্দ্র করে অনেকে সুযোগ-সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করবে।’