ঢাকা থেকে জেদ্দা রুটে ফ্লাইট চালু করেছে বেসরকারি আকাশ পরিবহন সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস। গতকাল ঢাকায় একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফ্লাইট উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ মডেলের উড়োজাহাজ দিয়ে সপ্তাহের সাতদিন ঢাকা-জেদ্দা ফ্লাইট পরিচালনা করবে ইউএস-বাংলা। ফ্লাইটে আসন সংখ্যা ৪৩৬।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালে আমি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের উদ্বোধন করেছিলাম, আমিই আজ ঢাকা-জেদ্দা রুটের উদ্বোধন করছি, এটা আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের। আমি আশা করছি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস তাদের বহর আরো বড় করবে এবং আন্তর্জাতিক রুট সম্প্রসারণ করে আরো এগিয়ে যাবে।’
ফারুক খান বলেন, ‘সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য জনগণকে উন্নত সেবা ও সঠিক মূল্যে সেবা দেয়া। আমরা এভিয়েশন খাতকে এগিয়ে নিতে সবার সঙ্গে বসে আলোচনা করব, তাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব। সঙ্গে যাত্রীসেবাও নিশ্চিত করব।’
তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছরে দেশের এভিয়েশন শিল্পে নীরব বিপ্লব ঘটেছে। এ সময়ের মধ্যে নতুন টার্মিনাল নির্মাণ, রানওয়ের শক্তি ও দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিমানবন্দরের ব্যাপক উন্নয়নকাজ হয়েছে। তবে আমাদের আরো অনেক কাজ করার আছে। এভিয়েশন শিল্প টেকনোলজি বেইজড শিল্প। এখানে কাজগুলো ধারাবাহিকভাবে করতে হয়।
দেশের সব এয়ারলাইনসকে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সাম্প্রতিককালে আন্দোলনের সময় দেশে সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যেও প্রতিটি এয়ারলাইনস অপারেশন চালিয়েছে, যাত্রীদের সেবা দিয়েছে এজন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। এছাড়া বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকেও (বেবিচক) ধন্যবাদ জানাই। আমরা আশা করি আগামীতেও তারা এ ধরনের সেবা দিয়ে যাবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার কমোডর সাদিকুর রহমান চৌধুরী, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এওএবি) নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম, ইউএস-বাংলার এয়ারলাইনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লুৎফর রহমানসহ আটাব, টোয়াব ও হাবের নেতারা।