ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেডের চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) কর-পরবর্তী নিট মুনাফা বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছে ৩ কোটি ৫ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ কোটি ৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির সুদ আয় হয়েছে ১২৩ কোটি টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১০২ কোটি টাকা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা হয়েছিল ৬ পয়সা। এছাড়া দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ৩ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৮৯ পয়সায়।
সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরেও যা ছিল একই। গত ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটিরএনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৩২ পয়সায়।
২০২২ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ দিয়েছে ইউনাইটেড ফাইন্যান্স।
আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১৪ কোটি ২২ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২২ কোটি ২২ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ৮ কোটি টাকা বা ৩৬ শতাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরের যা ছিল ১ টাকা ১৯ পয়সা। ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৭ টাকা ৬ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৭ টাকা ৩০ পয়সা।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২২ কোটি ২২ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২১ কোটি ১২ লাখ টাকা।
২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরেও শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল ইউনাইটেড ফাইন্যান্স। ২০১৯ হিসাব বছরেও ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। ২০১৮ হিসাব বছরেও একই হারে নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। ২০১৭ ও ২০১৬ হিসাব বছরে ১০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।
কোম্পানিটির সর্বশেষ ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ডাবল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-টু’। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও রেটিং ঘোষণার দিন পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক অন্যান্য গুণগত ও পরিমাণগত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ প্রত্যয়ন করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)।
১৯৯৪ সালে তালিকাভুক্ত ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১৮৭ কোটি ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১৩৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১৮ কোটি ৭১ লাখ ১৪ হাজার ৬১৪। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে ৫৪ দশমিক ৪২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৬ দশমিক ৮৫ ও বাকি ২৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।
ডিএসইতে গতকাল ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ১২ টাকা ৪০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৮ টাকা ৭০ ও ১৬ টাকা ১০ পয়সা।