জায়েদ বিমানবন্দরে যাত্রী চলাচল বেড়েছে ৩৩.৮ শতাংশ

প্রকাশ: আগস্ট ০২, ২০২৪

বণিক বার্তা ডেস্ক

ব্যবসা-পর্যটনসহ নানা খাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতমুখী চলাচল বেড়েছে। দেশটির প্রধান প্রধান বিমানবন্দরের পরিসংখ্যানের দিকে নজর রাখলে এ বিষয়ে স্পষ্ট চিত্র উঠে আসে বলে মন্তব্য বিশ্লেষকদের। সম্প্রতি যাত্রী পরিষেবার পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে আবুধাবির জায়েদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সেখানে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ৩৩ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি যাত্রীকে পরিষেবা দিয়েছে বিমানবন্দরটি। এ সময় চলাচল করেছে ১ কোটি ৩৭ লাখ যাত্রী। খবর দ্য ন্যাশনাল।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিমানবন্দর পরিচালনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আবুধাবির পাঁচ বিমানবন্দরেই যাত্রী বেড়েছে। এর মধ্যে জায়েদ বিমানবন্দরে তা ৩৩ দশমিক ৮ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৩৭ লাখ। অন্যদিকে আবুধাবির পাঁচটি বিমানবন্দরজুড়ে যাত্রী চলাচল জানুয়ারি-জুনে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ১ কোটি ৩৯ লাখ হয়েছে। 

আবুধাবি বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী এলেনা সোর্লিনির মতে, যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি থেকে আবুধাবির পর্যটন ও ভবিষ্যৎ বাণিজ্য সম্ভাবনা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। 

গত এক দশকে জ্বালানি তেলনির্ভর অর্থনীতি থেকে অনেকটাই সরে এসেছে ইউএই। এজন্য বিদেশীদের লক্ষ্য করে ভিসা, ব্যবসায়িক লাইসেন্স, করসহ নানা ক্ষেত্রে নীতি সংস্কার করেছে দেশটি। এতে বিনিয়োগ ও ব্যবসা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বিদেশীদের জন্য উল্লেখযোগ্য গন্তব্য হয়ে উঠেছে দুবাই, আবুধাবি ও শারজার মতো শহরগুলো। এখানকার পর্যটন, প্রযুক্তি, আবাসন ও বিভিন্ন খাতে অবৈধ পথে যাওয়া অর্থ বিনিয়োগ হচ্ছে বলে একাধিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার আঞ্চলিক কেন্দ্র হয়ে উঠেছে ইউএই। এ থেকে সুবিধা পাচ্ছে দেশটির বিমানবন্দর ও এয়ারলাইনস শিল্প।

ইতিহাদ এয়ারওয়েজের প্রধান কেন্দ্র হলো জায়েদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটি ৮৭ লাখ যাত্রী পরিবহন করেছে, যা ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ৩৮ শতাংশ বেশি। 

এদিকে বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুনে) জায়েদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুটি নতুন এয়ারলাইনস যুক্ত হয়েছে—বাংলাদেশ থেকে ইউএস বাংলা ও যুক্তরাজ্য থেকে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ। এছাড়া সামনের মাসগুলোয় যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন গন্তব্যের এয়ারলাইনস পরিষেবা । 

যাত্রী পরিবহন বাড়লেও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কার্গো পরিবহন কমেছে আবু জায়েদ বিমানবন্দরে। চলতি বছরের প্রথমার্ধে এ বিমানবন্দরে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩০০ টন কার্গো আনা-নেয়া হয়েছে, যা ২০২৩ সালের একই সময়ের ২ লাখ ৫৯ হাজার ৪৬১ টনের চেয়ে কিছুটা কম। তবে গত জুন থেকে কার্গো পরিবহন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে বলেও জানানো হয় প্রতিবেদনে।

আন্তর্জাতিক এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) সম্প্রতি জানিয়েছে, বৈশ্বিক এয়ার কার্গো বাজার বছরের প্রথমার্ধে ‘অসাধারণ’ পারফরম্যান্স করেছে। এ সময় পণ্য পরিবহনের আকার ২০২১ সালের একই সময়ের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এ বিষয়ে আইএটিএর মহাপরিচালক উইলি ওয়ালশ বলেন, ‘সামুদ্রিক শিপিংয়ের সীমাবদ্ধতা ও ক্রমবর্ধমান ই-কমার্স খাত শক্তিশালী প্রবৃদ্ধিতে বড় আকারে প্রভাবিত করছে।’

আইএটিএর প্রতিবেদন অনুসারে, মধ্যপ্রাচ্যের এয়ারলাইনসগুলোয় জুনে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কার্গো পরিবহনের চাহিদা বেড়েছে ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ। একই সময়ে পরিবহন সক্ষমতা বেড়েছে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ। 


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫