মার্কেসাস দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ফুলের মতো ফুটে থাকা এক দ্বীপপুঞ্জ। দিন কয়েক আগে অঞ্চলটি পেয়েছে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি। তে হেনুয়া এনাটা বা পুরুষদের দেশ নামে পরিচিত ফরাসি পলিনেশিয়ান অঞ্চলের এ ১২ দ্বীপে প্রায় নয় হাজার মানুষের বসবাস, এর মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল হলো নুকু হিভা। বিশ্বের প্রধান পর্যটন গন্তব্যগুলো থেকে এ দ্বীপপুঞ্জের অবস্থান বেশ দূরে। অনেকের মতে, এ কারণে মার্কেসাস নিজের অনন্যতা ধরে রেখেছে। হাওয়াই থেকে প্রায় চার হাজার কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং ফিজি থেকে ৪ হাজার ৭০০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। এ কারণে খুব কমসংখ্যক পর্যটকই সেখানে ভ্রমণ করেন। ২০২৩ সালে মাত্র ১০ হাজার ৯৯৫ জন পর্যটক নুকু হিভা ভ্রমণ করেছেন, যা তাহিতিতে ভ্রমণকারীদের মোট সংখ্যার ২ শতাংশেরও কম। মার্কেসাস দ্বীপপুঞ্জ ভ্রমণ করতে আসা বেশির ভাগ পর্যটক প্রথমে তাহিতির ফা’আ’আ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সেখান থেকে তারা নুকু হিভা ও অন্যান্য মার্কেসাস দ্বীপপুঞ্জমুখী নৌকায় ওঠেন। ইউনেস্কোর স্বীকৃতি মার্কেসাসের ব্যতিক্রমী সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত ঐতিহ্যকে তুলে ধরে। তাহিতি পর্যটনের সিইও জিন-মার্ক মোসেলিন মার্কেসাস দ্বীপপুঞ্জের ইউনেস্কোর স্বীকৃতির বিষয়ে বলেন, ‘ইউনেস্কোর স্বীকৃতি মার্কেসাস দ্বীপপুঞ্জের ব্যতিক্রমী সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত ঐতিহ্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রদর্শন করার অনন্য সুযোগ। প্রান্তিক অবস্থান ও মানুষের হস্তক্ষেপের অভাব দ্বীপগুলোর চারপাশকে বিশ্বের শেষ সামুদ্রিক মরুভূমি অঞ্চলগুলোর মধ্যে অন্যতম করে তুলেছে।’ এখানকার সমুদ্রতীরে স্পিনার ডলফিনের কসরত দেখা অস্বাভাবিক নয়। কাঠে খোদাই করা শিল্পকর্ম, নাচ ও সংগীত দ্বীপগুলোর ঐতিহ্যের অংশ। চিত্রশিল্পী পল গগাঁ ও বেলজিয়ান গায়ক জ্যাক ব্রেল উভয়েই মার্কেসাসের হিভা ওয়া দ্বীপের একটি ছোট কবরস্থানে শুয়ে আছেন। খবর ও ছবি সিএনএন