সারা দেশে পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা। ঈদে ৬ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন দুপুর ২টায় পূর্ব ঘোষিত কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি।
ডিএনসিসির ৭ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত মিরপুর সেকশন-২ ব্লক-এইচ রোড নম্বর ৬-এ বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মেয়র আতিক।
এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমরা ৩ নং ওয়ার্ডে একটি নির্দিষ্ট স্থানে এবং ৭ নং ওয়ার্ডে ৪টি নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির উদ্যোগ নিয়েছি। সবাই একসঙ্গে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় কোরবানি দিলে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম অনেক সহজ হয়। ৭ নং ওয়ার্ডের ৪টি নির্দিষ্ট স্থানে ১ হাজার ২০০ পশু কোরবানি দেয়া হয়েছে। একসঙ্গে এতগুলো পশু কোরবানি দেয়ায় পরিচ্ছন্নতার কাজটা দ্রুত করা সম্ভব হচ্ছে।
যে ওয়ার্ডে নির্দিষ্ট স্থানে বেশি সংখ্যক পশু কোরবানি দেয়া হবে সে ওয়ার্ডের বরাদ্দ বাড়িয়ে দেয়া হবে বলেও এ সময় জানান তিনি।
মেয়র বলেন, রাত ৮টার মধ্যে নির্ধারিত ৬ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ডিএনসিসির দশ হাজারের অধিক পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাজ করছে। কাউন্সিলর এবং ডিএনসিসির কর্মকর্তারা মাঠে রয়েছে। আমি নিজে ওয়ার্ডগুলো পরিদর্শন করব। নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ আমাদের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সহযোগিতা করুন। এ সময় হটলাইন নম্বর ১৬১০৬-এ ফোন করে বর্জ্যের বিষয়ে তথ্য জানানো হলে কন্ট্রোল রুম থেকে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে মেয়র জানান।
ডিএনসিসি মেয়র আজ ঈদের দিনই সবাইকে কোরবানির আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আজ সম্ভব না হলে অবশ্যই আগামীকাল সকালের মধ্যে কোরবানি সম্পন্ন করুন। তাহলে দ্রুত শহরকে পরিচ্ছন্ন করতে পারব।
মেয়র আরো বলেন, এখন অনেক গরম, আবার বৃষ্টিও হচ্ছে। এ সময়ে এডিসের লার্ভা জন্মায়। তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। অনেকে আজ ও আগামীকাল বাড়িতে যাবেন। বাড়ি যাওয়ার আগে বাসাবাড়ির ছাদ, বারান্দা, বাথরুম এগুলো পরিষ্কার করে যাবেন। পানি জমে এডিসের লার্ভা জন্মাতে পারে এমন পাত্র উল্টিয়ে রাখবেন।
উদ্বোধন শেষে ডিএনসিসি মেয়র বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সশরীরে পরিদর্শন শুরু করেন।
বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে অন্যান্যের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. তফাজ্জল হোসেন (টেনু) এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।