রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ বিলবোর্ড
অ্যাডভার্টাইজিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা মো. লিয়াকত আলী খাঁন মুকুল বলেছেন,
বিপণন ও প্রচারের জন্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার পাশাপাশি আউটডোর অ্যাডভার্টাইজিং
খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বজুড়ে এ শিল্পের কদর বাড়লেও দেশে এর যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি।
শনিবার (২৫ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে সম্মিলিত
ব্যবসায়ী ফোরাম ও বাংলাদেশ বিলবোর্ড অ্যাডভার্টাইজিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনা
সভা ও প্রীতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিলবোর্ড শিল্পের
উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি
হাজী মো. রাশেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে লিয়াকত আলী খাঁন
মুকুল বলেন, বিলবোর্ড একটা শিল্প। আমরা শিল্পীর মন নিয়ে কাজ করি। দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে
এ শিল্পের অনেক অবদান রয়েছে। বিলবোর্ড শিল্পের আরো উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য নিজেদের
ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সেজন্য যোগ্য নেতৃত্বের পাশাপাশি সংগঠনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া
খুবই জরুরি।
লিয়াকত আলী খাঁন মুকুল আরো বলেন, আগের কমিটি
নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। সেজন্যই আজ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সদস্যরা এখানে এসেছেন।
আগামীতে সব ধরনের অনিয়ম বন্ধ হোক। একটি অবাধ
ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়ে সংগঠনকে আরো গতিশীল করবে—
এ প্রত্যাশা করছি।
সদস্যদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে পল্টনে
সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ের জন্য বিনামূল্যে ১ হাজার বর্গফুটের একটি জায়গা উপহার দেয়ার
ঘোষণাও দেন রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান।
সভায় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে
গেলেও আজ পর্যন্ত রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যুগপোযোগী কোনো বিজ্ঞাপন নীতিমালা প্রণয়ন করা
হয়নি। ফলে বিলবোর্ড বিজ্ঞাপন ব্যবসা প্রকৃত ব্যবসায়ীদের হাত থেকে ক্রমেই অপেশাদার ও
বিত্তশালীদের হাতে চলে যাচ্ছে। যে কারণে সকল নগরীর পরিকল্পিত সৌন্দর্য্য ব্যহত হওয়ার
পাশাপাশি সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাবেক সাধারণ
সম্পাদক মোহাম্মদ আবুল হোসেন খান, সেলিনা পারভিন, মো. আশরাফ উদ্দিন খাঁন, হাজী মো.
সোহরাব ইদ্দিন খান, আবুল কালাম আজাদ ফারুক, মো. মারুফ রেজা, নাজমুস সাকিব, জাফর আহমেদসহ
আরো অনেকে।