নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্ত্রী সালমাকে (৩০) শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। উপজেলার পৌরসভা এলাকার ভট্টপুর গ্রামে শুক্রবার (২৪ মে) এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সালমা পৌরসভার ভট্টপুর এলাকার মো. রূপচাঁনের স্ত্রী
এবং দুই সন্তানের মা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রূপচানকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের
দাবি, অভিযুক্ত রূপচাঁন দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত
ছিলেন। পরকীয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে সালমা প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য
কলহ সৃষ্টি হয়।
নিহতের ছেলে আব্দুল্লাহ আরবান কাইফি বলেন, আমার বাবা দীর্ঘদিন ধরে
পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। এ নিয়ে প্রায়ই মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হতো। বিষয়টি আমি নানাবাড়িতে
জানালে তাদের ঈদের পরে এ নিয়ে আলোচনায় বসার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই আমার মা খুন হয়ে
গেলেন।
নিহতের বড় ভাই রিপন খান বলেন, প্রায় দুই বছর ধরে তার স্বামী পরকীয়ায়
জড়িত। এ নিয়ে একাধিকবার বিচার-সালিশও হয়েছে। কিছুদিন আগেও আমার বোনকে মারধর করে ও হত্যার
হুমকি দেন রূপচান। কিন্তু সন্তানদের কথা চিন্তা করে আমার বোন সেখানে থেকে যান। আজ ভোরে
আমার বোনের মরদেহ বাড়ি থেকে বেশ খানিকটা দূরে পুকুরে পাওয়া যায়। মরদেহটি প্রথম দেখতে
পান তার স্বামী রূপচান।
রিপন খান আরো বলেন, আমার বোন কখনো পুকুরে যায় না। সে সবসময় টিউবওয়েলেই
গোসল করে। তার স্বামীই তাকে শ্বাসরোধ করে মেরে পুকুরের পাড়ে ফেলে রেখেছেন।
সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মহসিন মিয়া জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নিহতের স্বামীকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করা যাবে।