সৌম্য সরকার কিংবা লিটন দাস বারবার সুযোগ পাওয়ার পরও রান করতে পারছেন
না। এছাড়া তিনে ব্যাট করতে নামা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর স্ট্রাইক রেট কোনোভাবে
টি-টোয়েন্টির সঙ্গে মানাচ্ছে না। টপঅর্ডার ব্যাটারদের সমস্যাটা কোথায়? সিরিজ হারের
পর দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা সাকিব আল হাসান বললেন 'আমি বলতে পারব না।
এটার জবাব আমার কাছে নেই।'
গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারের পর সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন
সাকিব। জানিয়েছেন সিরিজ শুরুর আগে পর্যাপ্ত অনুশীলন না করতে পারার কথা। এমনকি বিশ্বকাপের
প্রস্তুতির অংশ হিসেবে যতটা সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা, সেটাও পাননি বলে মনে করেন টাইগার
এ অলরাউন্ডার।
সিরিজ হার নিয়ে সাকিবের কথা, ‘অবশ্যই হতাশার। আমরা আশা করিনি। যুক্তরাষ্ট্র
দলকে কৃতিত্ব দিতে হয়, তারা যেভাবে খেলেছে।’
এক হারকে অঘটন বলা যায়। তাই বলে টানা দুই ম্যাচ হার যুক্তরাষ্ট্রের
মতো দলের বিপক্ষে? বাংলাদেশের কী হলো? সমস্যাটা কোথায়? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,
'আমি জানি না। আমি জানলে তো টিমকে বলতাম, রেজাল্ট অন্যরকম হতো।'
যুক্তরাষ্ট্রের মতো দলের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচ হার কেউই আশা করেননি
জানিয়ে সাকিব আরো বলেন, 'হারাটা আমাদের জন্য হতাশাজনক। যে কোনো ম্যাচ হারাই হতাশার।
আমরা আশা করিনি। আমার ধারণা, কেউই আশা করেনি আমরা দুটো ম্যাচ হেরে যাব। সেখান থেকে
তো অবশ্যই হতাশাজনক আমাদের জন্য।’
তবে এক্ষেত্রে নিজেদের প্রস্তুতির কিছুটা ঘাটতি আছে বলে মনে করেন
বাংলাদেশ দলের সাবেক এ অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘আসলে এটাকে যদি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে
ধরে থাকি তাহলে আমাদের ব্যাটিং-বোলিংয়ের আরো বেশি সেশন হওয়া দরকার ছিল। ফ্যাসিলিটি
আরো বেশি থাকা দরকার ছিল। এগুলার কিছুই আমরা পাইনি। একদিন প্রপার নেট সেশন হয়েছে। যেখানে
ব্যাটাররা পুরোপুরি সুযোগ পায়নি। এখানে দুই দিকেরই ব্যর্থতা আছে।’
এ নিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘এক দিন বৃষ্টির জন্য পারিনি। এখানে ৪টা মাঠ
আছে। আমরা ৩টা পিচে ব্যাট করতে পেরেছি। এ জিনিসগুলা আরো বেটার হতে পারত।’
এমন পারফরম্যান্সের প্রভাব বিশ্বকাপে পড়তে পারে কিনা? সাকিবের সেই
পরিচিত জবাব, 'অবশ্যই পড়তে পারে, আবার নাও পড়তে পারে।'