টানা পঞ্চম মাসের মতো জাপানি সামুদ্রিক মাছ (সিফুড) আমদানি কমিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। ফুকুসিমার তেজস্ক্রিয় পানি সম্প্রতি নিষ্কাশন করে সমুদ্রে ফেলে জাপান। ঘটনার পর থেকেই জাপানি সিফুড নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়। স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কায় জাপান থেকে সব ধরনের সামুদ্রিক খাবার আমদানি কমিয়েছে প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া। খবর দ্য কোরিয়া হেরাল্ড।
কোরিয়া কাস্টমস সার্ভিসের তথ্যানুসারে, আগস্টে টানা পাঁচ মাসের মতো জাপানি সামুদ্রিক মাছ আমদানির পরিমাণ কমেছে। আগস্টে প্রতিবেশী দেশটি থেকে সিউল ৭৮ লাখ ১০ ডলার সামুদ্রিক মাছ আমদানি করেছে, যা ২০২২ সালের একই মাসের চেয়ে ৩৪ দশমিক ৮ শতাংশ কম।
জাপানি মৎস্য পণ্য আমদানিতে এ বছরের সবচেয়ে বড় পতন হয়েছে আাগস্টে। এমনকি দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম পরিমাণ আমদানি রেকর্ড হয়েছে আগস্টে। পরিমাণের দিক থেকে আগস্টে ১ হাজার ৬২২ টন জাপানি সিফুড আমদানি করেছে দক্ষিণ কোরিয়া, গত বছরের তুলনায় যা ২৪ দশমিক ৯ শতাংশ কম। পরিমাণ ও দাম উভয় হিসেবেই টোকিও থেকে আমদানি কমিয়েছে সিউল।
২০১১ সালের মার্চের এক শক্তিশালী ভূমিকম্পে ফুকুশিমার তিনটি পারামাণবিক চুল্লি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তেজস্ক্রিয় পানি জমে ছিল।
গত ২৪ আগস্ট পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সঞ্চিত ওই তেজস্ক্রিয় পানি নিষ্কাশন করে সমুদ্রে ফেলে জাপান।