ঈদুল আজহার ছুটির পর থেকেই ধারাবাহিক পতন পরিলক্ষিত হচ্ছে দেশের পুঁজিবাজারে। এর মধ্যে গত চার কার্যদিবসে ৬৩ পয়েন্ট হারিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স। এ সময়ে এক্সচেঞ্জটিতে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণও ৬০০ কোটি টাকার নিচে নেমে গেছে। দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) এ সময়ে সূচক ও দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ কমেছে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেছে। পাশাপাশি বৈশ্বিক অর্থনীতির অনিশ্চয়তা ও পণ্য বাজারের অস্থিরতার মতো বিষয়গুলো পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের মনস্তত্ত্বকে প্রভাবিত করছে। সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতি চাপের মুখে থাকায় তারা পুঁজিবাজার নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী হতে পারছেন না। এ কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রি করে দেয়ার প্রবণতা বাড়ছে। অন্যদিকে একশ্রেণীর বিনিয়োগকারী এ মুহূর্তে বিনিয়োগ না করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। এতে বাজারের তারল্যও কমে গেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল লেনদেন শুরুর পর ৩ মিনিট পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী অবস্থানে ছিল সূচক। কিন্তু শেয়ার বিক্রির চাপে এর পর থেকেই দরপতন হতে থাকে। মাঝে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও সেটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। শেষ পর্যন্ত গতকাল দিনশেষে ২০ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩০৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে ডিএসইএক্স। এর আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৬ হাজার ৩২৪ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইর ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ গতকাল ৬ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২৬৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগের দিন শেষে যা ছিল ২ হাজার ২৭৪ পয়েন্টে।