হিরাম
কক্স—যে নাম অমর
হয়ে আছে একটি বাজারের সঙ্গে যোগ হয়ে, কক্সবাজার। বাংলাদেশের প্রধান পর্যটক আকর্ষক জেলা সদর কক্সবাজার। প্রতি বছর লাখ লাখ ভ্রামণিক কক্সবাজার-টেকনাফ ভ্রমণ করে। হিরাম সাহেবের নাম মনে না থাকলেও কক্স
সাহেবের বাজারে সবাই আমরা বছরান্তে একবার যেতে চেষ্টা করি। এখন আমরা উড়োজাহাজে বা বিলাসবহুল নৈশ
কোচে কিংবা ব্যক্তিগত গাড়িতে খুব সহজেই কক্সবাজারে পৌঁছাতে পারি। এমনকি একসময় দোহাজারী পর্যন্ত ট্রেনে গিয়ে সেখান থেকে হাতির পিঠে বা হেঁটে বা
অন্য কোনো বাহনে কক্সবাজার যাওয়া যেত। কিন্তু পঞ্চাশের দশক পর্যন্তও কক্সবাজার যাওয়ার প্রধান মাধ্যম ছিল নৌকা, সাম্পান বা স্টিমার। সেই
কক্সবাজারে হিরাম কক্স কাজ করেছেন অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষপাদে, ১৭৯৯ সালে ম্যালেরিয়ায় তার মৃত্যু পর্যন্ত। হিরাম কক্স (১৭৬০-১৭৯৯) ছিলেন একজন সেনা কর্মকর্তা, ক্যাপ্টেন। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন একজন কূটনীতিক, বার্মায় তিনি কূটনৈতিক দায়িত্ব পালন করেন ১৭৯৬-৯৭ সময়ে। স্বাভাবিকভাবেই
দক্ষিণ চট্টগ্রামে ১৭৯৮-৯৯ সালে আরাকান
শরণার্থী ও পুনর্বাসনকাজে নিয়োজিত
থাকার সময় তার সদরকে কেন্দ্র করে লোকজনের জন্য একটি বাজার বসে, কালক্রমে যা তার নামের
সঙ্গে যুক্ত হয়ে কক্সবাজার নামে খ্যাতি লাভ করে। আর এর পুরনো
নাম পালংকি স্মৃতি থেকে কালক্রমে মুছে যায়। চট্টগ্রাম,
তার দক্ষিণ সীমান্ত সবসময়ই একটি অস্থির অঞ্চল। দীর্ঘদিন ধরেই নাফ নদী একটি স্বাভাবিক সীমান্তরেখা। কিন্তু এ লক্ষ্মণরেখা ডিঙিয়ে
আরাকানরাজ অনেকবারই চট্টগ্রাম পর্যন্ত দখল করেছে। আবার ত্রিপুরার মানিক্য রাজেরা তাদের বিতাড়িত করেছে। ১৬৫৮ সালে সম্রাট শাহজাহানের পুত্ররা উত্তরাধিকারের সংগ্রামে লিপ্ত হয় এবং তত্কালীন
বাংলার ২২ বছর শাসনকারী
সুবাদার শাহ সুজাসহ তিন ভাই সম্রাট আওরঙ্গজেবের কাছে পরাজিত হয়। সুজা ১৬৬০ সালে থাট্টা থেকে পালিয়ে ঢাকা আসেন। সেখান থেকে জাহাজে ভুলুয়া (বর্তমান নোয়াখালী) হয়ে দেয়াং (কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরে) পৌঁছান। চট্টগ্রাম থেকে আরাকান হয়ে জাহাজে মক্কা যাওয়ার উদ্দেশ্যে স্থলপথে হাজারো পালকির বহর নিয়ে আরাকানের দিকে রওয়না হন। পথিমধ্যে হাজার ডুলি (পালকি) যেখানে বিশ্রামের জন্য নামানো হয়, তার নাম হয় ডুলাহাজরা। ঈদের
দিন হলে পথেই ঈদ জামাত আদায়
করা হয় ‘ঈদগাহ’-এ। আর পালকি
নামিয়ে অপেক্ষার সময় যেখানে কাটানো হয়, সে স্থানের নাম
হয় পালংকি (কক্সবাজারের পুরনো নাম)। জেলা প্রশাসনের
ওয়েবসাইট এবং উইকি উভয়ই এ কথা উল্লেখ
করেছে। কে যে কাকে
অনুসরণ করেছেন কে জানে। আরাকানের
ম্রাউক ইউ (ম্রোহং) বংশীয় রাজা চন্দ্র সুধর্ম্যা বা সান্দা-থু-ধাম্মা (১৬৫২-১৬৮৪) শাহ সুজাকে আশ্রয় ও মক্কা পাঠানোর
আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন করেননি।
সে ভিন্ন ইতিহাস। শাহ সুজাকে অনুসরণ করে মোগল ফৌজ চট্টগ্রামে চলে আসে। ১৬৬৬ সালে মোগল বিজয়ের পর চট্টগ্রামে একটা
স্থিতাবস্থা আসে, কিন্তু আরো দক্ষিণে নাফ নদীর এপার-ওপারে একটা অনিশ্চিত অবস্থা বিরাজ করতেই থাকে। ১৭৫৬ সালে নাফ নদী পর্যন্ত এলাকা মোগল অধিকারে আসে। আভার
রাজা বোধপায়া (১৭৮২-১৮১৯) আরাকান সীমান্তে সবসময়ই একটি শত্রুভাবাপন্ন অবস্থা তৈরি করে রাখেন। ১৭৮৪ সালে আরাকানের অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলার সুযোগে একজন রাজ অমাত্য (আরাকানি মীরজাফর) কর্তৃক আমন্ত্রিত হয়ে এসে ম্রাউক ইউ রাজবংশের পতন
ঘটান। এর মাধ্যমে আভা
চলে আসে চট্টগ্রাম তথা কোম্পানির সীমান্তে আর যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত,
বাস্তুচ্যুত আরাকানিরা সীমান্ত পার হয়ে চট্টগ্রামের দক্ষিণ সীমান্তে আশ্রয় নিতে থাকে। শাসক পরিবার, অমাত্য ও ছোট ছোট
জমিদারও সাধারণ মানুষের সঙ্গে সীমান্ত পার হয়ে কোম্পানির এলাকায় প্রবেশ করে। ১৯৭০ সালে প্রকাশিত এসএনএইচ রিজভি সম্পাদিত চট্টগ্রাম ডিস্ট্রিক্ট গেজেটিয়ারে উল্লেখ আছে যে ‘they were allowed to
settle on the extensive tracts of waste land then untenanted. Many of these
fugitives became peaceable cultivators.’ কোম্পানির
পক্ষে চট্টগ্রামের শাসক তাদের বসতি স্থাপন ও চাষাবাদের জন্য
জমি বন্দোবস্ত দিতে থাকেন। চট্টগ্রাম ডিস্ট্রিক্ট রেকর্ডস (১৭৬০-১৭৮৭)-এ উল্লিখিত মুক্তারাম
গোমস্তার আরজিতে উল্লিখিত, ‘on the 22nd
Jheyt in the evening Waza, the Pegu Raja arrived at Bara Palang with 3000 men
armed with muskets and immediately seized my Talookdars and Ryots to the number
of 120 and confined them during then. In the meantime the rest of my people
made their escape to Rumoo.’ এখানে
‘বারো পালং’ শব্দদ্বয় লক্ষণীয়। এ প্রতিবেদন দেয়া
হয় ঘটনার তিনদিন পর ৫ জুন
১৭৮৭। ডিস্ট্রিক্ট রেকর্ডস অনুযায়ী ১৬ জুন ১৭৮৭
সম্রাট বোধপায়া নিয়োজিত আরাকানের সাত সর্দারের একজন ‘মেনভেইন্স সাকানুরা’ চট্টগ্রামের শাসককে এসব বিষয়ে এক পত্র দেন।
একই তারিখে আরেক পত্রে উল্লেখ আছে, ‘from the Raja of
Arakan to the Chief of Chittagong. Our territories are composed of 560
countries and we have ever been on terms of friendship and the inhabitants of
other countries willingly and freely trade with countries belonging to each of
us.’ এরপর আরাকানের রাজা একাধিক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে তাদের ফেরত চান। জেলা গেজেটিয়ারে আরো আছে, ১৭৯৩ সালে আরাকান প্রতিরোধ আন্দোলনের তিনজন নেতা কোম্পানির এলাকায় অর্থাৎ সীমান্ত পার হয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নেন। পাঁচ হাজার সৈন্যের এক বাহিনী নাফ
নদী পার হয়ে কক্সবাজারে ঢুকে পড়ে। পলাতকেরা অপরাধী হলে ফেরত দেয়া হবে, এ আশ্বাসে এ
বাহিনীকে ফেরত পাঠানো যায়। ক্যাপ্টেন
হিরাম কক্সের পুত্র হেনরি সিএম কক্স ১৮২১ সালে ইংল্যান্ড থেকে প্রকাশিত ‘জার্নাল অব আ রেসিডেন্স
ইন দ্য বার্মান এম্পায়ার অ্যান্ড মোর পারটিকুলারলি অ্যাট দ্য কোর্ট অব অমরাপুর’ বাই
ক্যাপ্ট. হিরাম কক্স, অব দ্য অনারেবল
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিজ বেঙ্গল নেটিভ ইনফ্যান্ট্রির মুখবন্ধে উল্লেখ করেন, অষ্টাদশ শতকের শেষ দিকে আভায় কোম্পানির প্রতিনিধি বা দূত ছিলেন
ক্যাপ্টেন সাইমস। তিনি দায়িত্ব পালন শেষে ফিরে আসেন। তখন ভারতে কোম্পানির গভর্নর জেনারেল ছিলেন স্যার জন শোর (১৭৯৩-৯৮)। তিনি
তখন ক্যাপ্টেন হিরাম কক্সকে ক্যাপ্টেন সাইমসের স্থলে বার্মায় নিয়োগ প্রদান করেন, কিন্তু একটি ভিন্ন উদ্দেশ্যে। উদ্দেশ্যের ভিন্নতা বোঝা যায়, ক্যাপ্টেন হিরাম কক্সকে আভায় না পাঠিয়ে ইরাবতীর
মোহনায় অবস্থিত রেঙ্গুনে প্রেরণ করেন। স্মর্তব্য, ১৮৮৫ সালে ব্রিটিশ বাহিনী রেঙ্গুন হয়েই ইরাবতী বেয়ে গিয়ে মান্দালয় আক্রমণ করে বার্মার রাজবংশের পতন ঘটায়। ফলে হিরাম কক্সের নিয়োগের পেছনে বাণিজ্যের সঙ্গে গোয়েন্দাগিরিও একটি উদ্দেশ্য ছিল বলে মনে হয়। ফলে উভয় দেশের সীমান্তের এক উত্তপ্ত অবস্থায়
ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স তার কূটনৈতিক দায়িত্ব পালনের জন্য রেঙ্গুন গমন করেন। তিনি তার জার্নালের শুরুতেই ৮ অক্টোবর ১৭৯৬
তারিখে উল্লেখ করেন, ‘I shall commence my
detail with the arrival of the Swallow packet in the Rangoon river, where I was
met by a boat containing the king’s linguist, who brought me a present of fruit
from Shabunder of Rangoon, and informed me, that the Nakhan and a Sercedoghee
were in waiting at the entrance of the river, to compliment me on my arrival.’ তার মানে তাকে ইরাবতী নদীর মোহনায় বন্দর কর্তার পক্ষে রাজার একজন দোভাষী ফলের ঝুড়িসহ আপ্যায়ন করে। তার জার্নালের সবশেষ ভুক্তি ১ নভেম্বর ১৭৯৭
তারিখের, যখন তিনি রাজধানী অমরাপুর সফর করে ১১ মাস পর
ফিরে আসেন। তিনি লিখেন, ‘At seven A.M. we
arrived at the pier at Rangoon, and found an English snow, the Peggy, Captain
Carey of Bengal. The Shabunder Jhansey came on board with Mr. Dyer. After
breakfast I landed , and went up to my house;in the course of the day most of
my baggage was landed. And thus ends my expedition to Amarapoorah, on which I
have been absent from Rangoon eleven months wanting four days.’ হিরাম
কক্স যখন রেঙ্গুন ও অমরাপুরে তার
দায়িত্ব পালন করছেন তখনো আরাকান থেকে রিফিউজি আগমন থেমে থাকেনি। আর চট্টগ্রাম জেলা
শাসকের জন্যও এটি ছিল একটি বাড়তি বোঝা ও ঝামেলা। চট্টগ্রাম
জেলা গেজেটিয়ারে উল্লেখ আছে ‘From this period
(1793) commenced an incessant immigration of Maghs from Arakanin to the
district, which was also selected ads an asylum by all the adjacent insurgent
chiefs. Between the year 1797 and 1800, it is said that about thirty or forty
thousand persons emigrated from Arakan into the Chittagong district; and by
1798, so large a body of emigrants arrived that the comprehensive measures had
to be adopted by Government for their support.’ এদিকে
হিরাম কক্স ততদিনে রেঙ্গুনে দায়িত্ব পালন শেষে কলকাতায় ফিরে এসেছেন। গভর্নর জেনারেল জন শোর ফিরে
গিয়েছেন আর মারকুয়েস ওয়েলেসলি
তখন গভর্নর জেনারেলের দায়িত্বে। হেনরি কক্স তার পিতার জার্নালের মুখবন্ধে লিখছেন, ‘The tyranny of
the Burmhan government in the province of Arracan, drove a very considerable
body of its unfortunate inhabitants to the dire resolution of abandoning their
homes and native country, to seek a precarious existence in the woods and
forests, which form the boundary of our territories on the Chittagong frontier.
To give immediate assistance to these unfortunate beings. Captain Cox was
commissioned to proceed to Chittagong, for the purpose of arranging the most
effectual means of relieving their necessities, by giving them a permanent
settlement on waste lands of that extensive district.’ উল্লেখ্য, পার্বত্য
চট্টগ্রাম জেলার জন্ম হয় তারও ৬২
বছর পর ১৮৬০ সালে। সমসাময়িককালে
তিন মাস ধরে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলা সফর করেন ফ্রান্সিস বুকানন-হ্যামিলটন, যিনি তার এ ভ্রমণ বিবরণী
‘an account of a journey through the provinces of Chittagong and Tiperrah.’ রেখে যান। দক্ষিণ ভারত, বিহার, নেপাল, বার্মা সম্পর্কে বুকাননের ভ্রমণ বিবরণী দীর্ঘদিন আগে প্রকাশিত হলেও লোকচক্ষুর আড়ালে ইন্ডিয়া অফিস লাইব্রেরিতে থাকা এ ভ্রমণ বিবরণী
প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালে।
ডাক্তার ফ্রান্সিস বুকানন-হ্যামিলটন ১৭৯৮ সালের মার্চ-এপ্রিলে দক্ষিণ চট্টগ্রামে তার এ ভ্রমণ করেন।
এ সময়ের পুরো বিবরণীতেই দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে আরাকান থেকে আসা শরণার্থীদের কথা তিনি উল্লেখ করেছেন। তাদের কেউ কেউ পুনর্বাসিত, কেউ জমি বন্দোবস্ত পেয়ে চাষবাস করছেন আর কেউ কেউ
বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন। যেমন ৩ এপ্রিল ১৭৯৮
বুকানন লেখেন, ‘Today in spite of
all my endeavors, I could effect only my passage across the mouth of the Ramoo
river,.......The bengalese of this village are chiefly Mussalmans, and
cultivate the ground in a fine valley, watered by Ramoo river. It is said that
in the whole of this valley there are fifteen thousands Rakain, who have fled
hither since the conquest of their country.’ তবে
যে বিষয় আমার কাছে কৌতূহলোদ্দীপক মনে হয়েছে তা হলো ‘বারো-পালং’-এর কথা। আমরা
কক্সবাজারের পূর্ব নাম পালংকি বলছি। আর পালং নাম
কক্সবাজার জেলায় এখনো প্রচলিত ও পরিচিত। ডাক্তার
বুকানন যখন ১৭৯৮ সালে কক্সবাজার অঞ্চল ভ্রমণ করেন, তখন এ নামে কোনো
জায়গা ছিল না। কিন্তু তিনি অন্তত ১২টি পালংয়ের কথা উল্লেখ করেছেন এবং পালং বলতে প্রচলিত ছিল ছোট পাহাড় বা পাহাড়যুক্ত এলাকা।
তিনি এক্ষেত্রে ১২টি পালংয়ের কথা উল্লেখ করেছেন, যার কোনো কোনোটি এখনো একই নামে বিদ্যমান। ডাক্তার বুকানন উল্লেখ করেন ‘Weella (wala), Rutna
(Rotna), Rungka (Rumkha), Rutnakaaga, Hulludea (Haladia), Huzzalea (Hazalia),
Rajah (Raja), Kootoo, Dua (Dhoa), Detchua (Dechuar), Pagully (paglir), Deelia,
and Sunna.’ এসব নামের সঙ্গে পালং যুক্ত এবং এগুলো উখিয়া ও রামু উপজেলায়
অবস্থিত। বর্তমান কক্সবাজার শহর এলাকায় যে পালং ছিল
তা হয়তো হিরাম কক্সের মৃত্যুর পর তার নাম
পরিবর্তিত হয়ে যায়। অন্য পালংগুলোর অনেক নাম আমরা সাময়িক ভ্রমণকারীরা ঢাকায় বসেও জানি। ক্যাপ্টেন
হিরাম কক্স দায়িত্বপালনকালে কাজের ধরন, এর সঙ্গে যুক্ত
পরিশ্রমে কাবু হন এবং পরবর্তী
সময়ে ম্যালেরিয়ায় মাত্র ৩৯ বছর বয়সে
মৃত্যুবরণ করেন। তার ছেলে হেনরি কক্স লিখছেন, ‘In an active
performance of the arduous duties of this situation, and in a climate
peculiarly noxious to an european constitution, Captain Cox persevered till his
own life became a sacrifice to his zeal and sense of public duty.’ হেনরি কক্স আরো উল্লেখ করেন, মাত্র ৩৯ বছর বয়সে
অকালমৃত্যু হওয়ায় তিনি তার জার্নাল সম্পূর্ণ করতে পারেননি। আমার ধারণা, বার্মায় লেখা জার্নাল কলকাতায় থেকে যায়, যা পরে হেনরির
কাছে পৌঁছায়, কিন্তু কক্সবাজার অবস্থানকালের জার্নাল হয়তো মৃত্যুর পরে আর যথাযথভাবে কলকাতায়
পৌঁছানো হয়নি। হলে সে সময়ের কক্সবাজারের
একটি বাস্তব বিবরণ আমরা পেতাম। জালাল আহমেদ: সরকারের সাবেক অতিরিক্ত সচিব