বিশেষ সংখ্যা

এনবিএফআই মেলা ২০২২ : বাণী



মুস্তফা কামাল এফসিএ

এমপি

মাননীয় মন্ত্রী

অর্থ মন্ত্রণালয়

নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা এনবিএফআই হলো বাংলাদেশের দ্রুতবর্ধনশীল আর্থিক ব্যবস্থার একটি অংশ। এনবিএফআইগুলো আর্থিক ব্যবস্থার গুণ-মান উভয়ই বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে। আর্থিক পরিষেবাসহ দেশে বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে বিদ্যমান আর্থিক মধ্যস্থতার গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম হলো এনবিএফআই। স্থানীয় বিদেশী উদ্যোক্তাদের মালিকানায় বর্তমানে দেশের সরকারি বেসরকারি এনবিএফআইগুলো সারা দেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে আজকের উত্তরণ যেখানে রয়েছে এক বন্ধুর পথ পাড়ি দেওয়ার ইতিহাস সরকারের রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের এটি একটি বড় অর্জন। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাহসী এবং অগ্রগতিশীল উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের ফলে, যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কাঠামোগত রূপান্তর উল্লেখযোগ্য সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে দ্রুত উন্নয়নের পথে নিয়ে এসেছে।

বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিকাশ বিশেষভাবে লক্ষণীয়। এনবিএফআইয়ের সেবা কার্যক্রম জনগণের সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যে বণিক বার্তা বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলএফসিএ) বিশেষ আয়োজনকে সাধুবাদ জানাই। আয়োজনের সফলতা প্রত্যাশা করছি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক

 

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি

মাননীয় মন্ত্রী

শিল্প মন্ত্রণালয়

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জনের পথে রয়েছে। যদিও বেশির ভাগ এনবিএফআইয়ের প্রধান ব্যবসা লিজিং বা ইজারা দেয়া। এছাড়া মেয়াদি ঋণ, হাউজিং ফাইন্যান্স, মার্চেন্ট ব্যাংকিং, ইকুইটি ফাইন্যান্সিং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফাইন্যান্সিংয়ে বৈচিত্র্য আনছে এনবিএফআইগুলো। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে এনবিএফআইগুলো আরো বড় ভূমিকা রাখার সক্ষমতা রাখে। যার জন্য এনবিএফআইগুলোর কার্যক্রম সম্পর্কে জনসাধারণকে আরো সচেতন করে তোলা প্রয়োজন। উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে এনবিএফআইয়ের ভূমিকা আরো জোরদার করার সুযোগ রয়েছে। অনেক চ্যালেঞ্জ সীমাবদ্ধতা নিয়ে দেশের এনবিএফআইগুলো এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর অগ্রযাত্রা দৃশ্যমান করতে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। দেশে কার্যরত শীর্ষ সব এনবিএফআই প্রতিষ্ঠান তাদের সেবা নিয়ে মেলায় অংশগ্রহণ করবে।

আমি বণিক বার্তা বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলএফসিএ) যৌথ উদ্যোগে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে আয়োজিত এনবিএফআই মেলা ২০২২-এর সফলতা কামনা করছি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক

 

টিপু মুনশি এমপি

মাননীয় মন্ত্রী

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

কভিডের অভিঘাত কাটিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। সব বাধা কাটিয়ে দেশের অর্থনীতি উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। ২০২৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। স্বপ্ন এখন উন্নত দেশে রূপান্তরের। পাঁচ দশকের অভিযাত্রায় দেশের নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। বিশ্ব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। নতুন বিষয়ের আবির্ভাব ঘটছে। নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয়ও পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে, সেবায় এসেছে পরিবর্তন। বিশ্বের উন্নত উন্নয়নশীল দেশগুলোয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্পসহ আবাসন খাতের বিকাশ এবং ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অবদান এখন বিশ্ববাসীর কাছে অনুকরণীয়।

১৮ মে বণিক বার্তা বিএলএফসিএ যৌথভাবে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানদের নিয়ে দিনব্যাপী বিশেষ মেলা এবং আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। দেশে কার্যরত শীর্ষ সব এনবিএফআই প্রতিষ্ঠান তাদের সেবা নিয়ে মেলায় অংশগ্রহণ করবে। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এমন একটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বণিক বার্তা বিএলএফসিএর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে আমি আয়োজনের সফলতা প্রত্যাশা করছি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক

 

সালমান এফ রহমান, এমপি

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিনিয়োগ উপদেষ্টা

ঐতিহ্যগতভাবে আমাদের ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো মেয়াদি ঋণ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত থাকে, যেগুলোর বেশির ভাগই তাদের কাছে অপরিচিত পণ্য। দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ব্যবস্থাপনায় এনবিএফআইয়ের দক্ষতা সক্ষমতা বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে। মেয়াদি ঋণের প্রবাহ নিশ্চিত করা এবং ঋণের ব্যবধান মেটানোর জন্য, অর্থনীতিতে এনবিএফআই অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়া মেয়াদি সঞ্চয়ের গতিশীলতা বাড়াতে এবং পুঁজিবাজারে সহায়তা পরিষেবা প্রদানের স্বার্থে নন-ব্যাংক আর্থিক খাত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে গতিশীল করতে এবং আর্থিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য এনবিএফআইগুলোর প্রয়োজনীয়তা গুরুত্ব অপরিসীম।

এনবিএফআইয়ের গুরুত্ব অনুধাবনের ধারাবাহিকতায় তাদের সেবা কার্যক্রম জনগণের সামনে তুলে ধরার জোরালো প্রয়াস প্রয়োজন। তাগিদ থেকেই বণিক বার্তা বিএলএফসিএ আজ দিনব্যাপী মেলা আলোচনা সভার আয়োজন করেছে জেনে আমি আনন্দিত হয়েছি। আমি আরো অবগত হয়েছি, আলোচনা সভার বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে অর্থনৈতিক উন্নয়নে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সম্ভাবনা চ্যালেঞ্জ, যা খুবই যৌক্তিক এবং সময়োপযোগী। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত মেলা কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়ন হবে বলে প্রত্যাশা করি। 

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক

 

. শামসুল আলম

মাননীয় প্রতিমন্ত্রী

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়

ব্যাংক, বীমা নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বলা হয় অর্থনীতির চালিকাশক্তি। লাখ লাখ সঞ্চয়ী মানুষের ভরসার স্থল এসব প্রতিষ্ঠান। ব্যাংক খাতের পাশাপাশি নন-ব্যাংক খাত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। খাতের আওতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। অর্থ জমা, লেনদেন, বিভিন্ন ধরনের ঋণসেবা প্রদান, স্বল্প, মধ্য দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ, এসএমইর উন্নয়নসহ নানাবিধ কার্যক্রমে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ভূমিকা রাখছে।

গত পাঁচ দশকে দেশের সুদৃঢ় অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা এবং এক্ষেত্রে আর্থিক খাতের ভূমিকা অনেকটাই দৃশ্যমান। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা, সম্পদের পরিমাণ, বিস্তৃতিএসবই আর্থিক খাতের ক্রমেই সম্প্রসারণের ধারাবাহিকতা গভীরতা নির্দেশ করে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু ঘটনা অর্থাৎ কিছু প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম খাতে চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন উড়ন্ত অবস্থায় রয়েছে। মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছে, লক্ষ্য এখন উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ হওয়া ২০৩১ সালের মধ্যে। সেখানে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো বড় ভূমিকা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের বিকাশের পথ যেমন করে দিতে হবে, তেমনি প্রতিষ্ঠানগুলোয় সুশাসন জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

এমন প্রেক্ষাপটে বণিক বার্তা বিএলএফসিএর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এনবিএফআই মেলা ২০২২ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমার প্রত্যাশা।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক

 

ফজলে কবির

মাননীয় গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংক

স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশ একটি সুদৃঢ় অর্থনৈতিক ভিতের ওপর নিজেকে দাঁড় করাতে পেরেছে। দেশের অগ্রযাত্রায় সারথির ভূমিকায় ছিল বাংলাদেশের ব্যাংক। করোনাভাইরাস সৃষ্ট আর্থিক দুর্যোগের সময় বাংলাদেশ ব্যাংক তার নীতিসহায়তা দিয়ে অর্থনীতিকে উজ্জীবিত রেখেছিল। ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা কারণে জ্বালানি তেলসহ বৈশ্বিক পণ্যবাজারের দাম এখন ঊর্ধ্বমুখী। চ্যালেঞ্জও সঠিক প্রক্রিয়ায় মোকাবেলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

ব্যাংক খাতের পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। খাতটিকে শক্তিশালী ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বেশকিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে আরটিজিএস সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। আরো কিছু উদ্যোগ বাস্তবায়নের পর্যায়ে রয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক যথাযথ ভূমিকা পালনে সচেষ্ট রয়েছে। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজেদেরই সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আরো সতর্ক হতে হবে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা কার্যক্রম জনগণের সামনে তুলে ধরতে বণিক বার্তা বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলএফসিএ) বিশেষ আয়োজনকে সাধুবাদ জানাই। আয়োজনের সফলতা প্রত্যাশা করছি।

 

ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন লিমিটেড

 

নাসিমুল বাতেন

ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিইও

সবারই হোক নিজের ঠিকানা লক্ষ্য সামনে রেখে আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডিবিএইচের যাত্রা ১৯৯৭ সালে। বেসরকারি খাতে ডিবিএইচ একমাত্র আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যা শুধু গৃহঋণ দেয়। আজ ডিবিএইচ দেশের গৃহঋণ প্রদানকারী সর্ববৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। গত ২৫ বছরে ডিবিএইচ হোম লোন দিয়েছে ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি। ডিবিএইচের রয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ হোম লোন পোর্টফোলিও।  ডিবিএইচের সাফল্যের আরেকটি মূলমন্ত্র হচ্ছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ সর্বনিম্ন রাখা। প্রথাগতভাবে সম্পদমূল্যের বিপরীতে ঋণ না দিয়ে ডিবিএইচ সবসময় গুরুত্ব দিয়েছে গ্রাহকের ঋণ পরিশোধের সামর্থ্যের ওপর, সঠিকভাবে ঋণঝুঁকি নির্ণয় করার মাধ্যমে ডিবিএইচ তার খেলাপি ঋণকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখতে পেরেছে। পাশাপাশি ডিবিএইচ পরিচালন ব্যয় সবসময় নিয়ন্ত্রণে রেখেছে, যা ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে হোম লোনে মার্কেট লিডার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করেছে।

 



আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড

মো. জামাল উদ্দিন

ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিইও

আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড ১৯৮৫ সালে একটি লিজিং কোম্পানি হিসেবে যাত্রা করে। শুধু দীর্ঘমেয়াদি লোন নিয়ে ব্যবসা শুরু করেও অর্থনীতির চাহিদা মোতাবেক দীর্ঘ ৩৭ বছরের পথচলায় এরই মধ্যে দেশের বৃহত্তম আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটি প্রতিষ্ঠিত। করপোরেট লোন, এসএমই লোন, রিটেইল লোন ডিপোজিটএই ক্ষেত্রগুলোয় প্রতিষ্ঠানটির একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি হয়েছে। এখন আইডিএলসির প্রায় হাজার ৫৫০ নিবেদিত কর্মী কাজ করে চলেছেন। দেশব্যাপী ৪০টি শাখা রয়েছে। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় তিন লাখ গ্রাহককে আর্থিক পরিষেবার আওতায় নিয়ে আসতে পেরেছে। এরই মধ্যে আইডিএলসি সর্বনিম্ন মন্দ ঋণের পরিমান বজায় রাখা, তুলনামূলকভাবে স্বল্প সময়ে লোন প্রসেসিং করার সক্ষমতা, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ডের মাধ্যমে তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে ভূমিকা রাখা, পুঁজিবাজারের সব ক্ষেত্রে আধিপত্যসহ নানা সফলতা অর্জন আইডিএলসিকে অন্য সবার থেকে আলাদা করেছে।

 


আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড

মমিনুল ইসলাম

ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিইও

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএফসি), জার্মানির বিনিয়োগ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ডিইজি আগা খান ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (একেএফইডি), কমনওয়েলথ ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন (সিডিসি) বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগে ১৯৮১ সালে গঠিত হয় দেশের বেসরকারি খাতের প্রথম আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড। প্রথমে এর নাম ছিল ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রমোশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড। বর্তমানে আইপিডিসির মালিকানায় রয়েছে বাংলাদেশ সরকার, ব্র্যাক, আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশন, আরএসএ ক্যাপিটাল লিমিটেড, ব্লুচিপ সিকিউরিটিজ লিমিটেডসহ স্থানীয় ব্যক্তি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। বর্তমানে আইপিডিসির ১৫টি শাখা রয়েছে। ২০২২  সালের প্রথম প্রান্তিক শেষে আইপিডিসির ঋণ হাজার ৯৫০ কোটি আমানত হাজার ৮৪০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। আইপিডিসি রিটেইল, এসএমই করপোরেট খাতে অর্থায়ন করে। এর মধ্যে রিটেইল এসএমই খাতে অর্থায়নে প্রতিষ্ঠানটি অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।

 

লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড

খাজা শাহরিয়ার

ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিইও

যৌথ উদ্যোগে গঠিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯৯৭ সালে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের যাত্রা হয়। করপোরেট, রিটেইল, এমএসই, স্টক ব্রোকিং, করপোরেট অ্যাডভাইজরি সম্পদ ব্যবস্থাপনার মতো সমন্বিত আর্থিক সেবা দিচ্ছে কোম্পানিটি। দেশের একমাত্র আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে মাস্টার কার্ড ভিসা ক্রেডিট কার্ড সেবা দিচ্ছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স।

২০০৬ সাল থেকেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) তালিকাভুক্ত রয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স। লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড, লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড লংকাবাংলা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের মাধ্যমে পুঁজিবাজারকেন্দ্রিক বিস্তৃত কার্যক্রম পরিচালনা করছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স। দেশের পুঁজিবাজারে প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে সম্প্রতি ট্রেড এক্সপ্রেস নামে একটি নতুন অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ওএমএস) চালু করেছে লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ।

 

ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেড

কায়সার তমিজ আমীন

ব্যবস্থাপনা পরিচালক

ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেড ১৯৮৯ সালে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা করে। কোম্পানিটি ডানকান ব্রাদার্স (বাংলাদেশ) লিমিটেড, ক্যামেলিয়া পিএলসি (যুক্তরাজ্য), লরি গ্রুপ পিএলসি (যুক্তরাজ্য) এবং তাদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত, যারা সম্মিলিতভাবে ১৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখছে।   প্রডাক্টস সার্ভিসেসের মধ্যে গ্রাহক সেবার কথা মাথায় রেখে ইউনাইটেড ফাইন্যান্স প্রতিনিয়ত নতুনত্ব আনার ধারা অব্যাহত রেখে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০১১ সালে নন-মেট্রোপলিটন এলাকায় গৃহ ঋণের কথা চিন্তা করে অ্যাফোর্ডেবল হোম লোন কার্যক্রম চালু করে। প্রতিষ্ঠানটি প্রান্তিক পর্যায়ে গ্রাহকদের কাছে ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি প্রোগ্রাম পরিচালনা করেছে। অর্থায়নের সঙ্গে বিজনেস অ্যানালিটিকসের মাধ্যমে গ্রাহকদের ব্যবসায়ের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে পরামর্শ দেয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি অনেক আগেই। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিটি সেবার মধ্যে প্রসেস ইনোভেশনের মাধ্যমে ক্রমাগত উন্নতি করছে।

 

বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেড

মো. কায়সার হামিদ

ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিইও

বাংলাদেশ ফাইন্যান্স একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যার দুটো সাবসিডিয়ারি আছে ক্যাপিটাল মার্কেট অপারেশনে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স সিকিউরিটিজ লিমিটেড বাংলাদেশ ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল হোল্ডিংস লিমিটেড। এর বাইরে মতিঝিল কমার্শিয়াল এরিয়াতে প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব একটি পাঁচতলা ভবন রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বোর্ডে রয়েছে আনোয়ার গ্রুপ। যে কোম্পানিটির চতুর্থ জেনারেশন ব্যবসা করছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের উত্তরোত্তর সফলতার অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালে সেরা আর্থিক প্রতিবেদনে আইসিএবি ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। একই বছর গুড গভর্ন্যান্সের জন্য পেয়েছে আইসিএসবি ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড। এমনকি বছরই আর্থিক প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে সাউথ এশিয়ান ফেডারশেন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টস (সাফা) নামে আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ডের স্বীকৃতিও এসেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের ঘরে। ২০১৯ সালের প্লাস ক্রেডিট রেটিং থেকে আজ প্রতিষ্ঠানটির ক্রেডিট রেটিং ডাবল এ। বাংলাদেশ ফাইন্যান্স একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে চলতি বছর জানুয়ারি শরিয়াহভিত্তিক ইসলামিক উইং খোলার অনুমোদন পেয়েছে।

 

বে লিজিং এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড

ইফতেখার আলী খান

ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিইও

বে লিজিং এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ২৬ বছর আগে ১৯৯৬ সালে একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা করে। প্রতিষ্ঠানটি পরে ২০০৯ সালে ঢাকা চট্টগ্রাম উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে নিবন্ধিত হয়। জন্মলগ্ন থেকেই বে লিজিং এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের অত্যন্ত সুযোগ্য পরিচালকমণ্ডলীর তত্ত্বাবধানে স্বাধীন ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে সুচারুভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। সৃজনশীল সময়োপযোগী সেবা প্রদান আমাদের অনন্য বৈশিষ্ট্য। এর সমান্তরালে তারা ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং আর্থিক পণ্য সেবার বহুমুখিতায় বিশ্বাসী। ওই বৈশিষ্ট্যগুলো প্রতিষ্ঠানটিকে গ্রাহক শেয়ারহোল্ডারদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমানত ঋণ সেবা কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি বে লিজিং এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের রয়েছে বিএলআই ক্যাপিটাল লিমিটেড নামে একটি লাভজনক সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান, যা মার্চেন্ট ব্যাংক হিসেবে পরিচালিত হয়ে আসছে। বে লিজিং এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের অ্যাসোসিয়েট প্রতিষ্ঠান বিএলআই সিকিউরিটিজ লিমিটেড একটি সফল লাভজনক ব্রোকারেজ হাউজ হিসেবে দেশব্যাপী সুনাম অর্জন করেছে।

 

সিভিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড

সৈয়দ মিনহাজ আহমেদ

ব্যবস্থাপনা পরিচালক

সিভিসি ফাইন্যান্স ২০১৬ সাল থেকে উদ্ভাবনী আর্থিক সেবাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে অত্যন্ত নিষ্ঠা সুনামের সঙ্গে সব কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে এবং যাত্রার স্বল্পতম সময়ে গ্রাহক, অংশীদার, নিয়ন্ত্রক দেশী-বিদেশী উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, ব্যবস্থাপনার দক্ষতার কারণে সিভিসি ফাইন্যান্স ২০১৮ সালের দ্বিতীয়ার্ধে শুরু হওয়া আর্থিক মন্দা বর্তমান করোনার মতো ধাক্কা কাটিয়ে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। কথা অনস্বীকার্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় নানাবিধ চ্যালেঞ্জ রয়েছে, কিন্তু সিভিসি ফাইন্যান্স একটি ভিন্নধারা পরিকল্পনা নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য ছিল প্রযুক্তি ব্যবহার করে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে আর্থিক ব্যবস্থার মূলস্রোতে অন্তর্ভুক্ত করা এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের আর্থসামাজিক মানোন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা। সিভিসি ফাইন্যান্সের অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্ভাবনী উদ্যোগের স্বীকৃতি হিসেবে বেশ কয়েকটি স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমনঅক্সফাম বাংলাদেশ, ইউকে এইড জাতিসংঘের মূলধন উন্নয়ন তহবিলের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে কাজ করছে।

 

আইআইডিএফসি

মো. গোলাম সরওয়ার ভূঁইয়া

ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিইও

ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড (আইআইডিএফসি) ২০০১ সালে কার্যক্রম শুরু করে। সরকারি-বেসরকারি ১০টি বাণিজ্যিক ব্যাংক, তিনটি বীমা কোম্পানি রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) উদ্যোগে আইআইডিএফসি গঠিত হয়। কোম্পানিটি করপোরেট, এসএমই, স্ট্রাকচারড রিটেইল খাতে অর্থায়ন করে। এসএমই খাতে লিজ মেয়াদি অর্থায়নসহ চলতি মূলধন অর্থায়ন, ফ্যাক্টরিং ওয়ার্ক অর্ডার অর্থায়ন, নারী উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন এবং কৃষিভিত্তিক প্রকল্পে অর্থায়ন করে তারা। স্ট্রাকচারড ফাইন্যান্সের ক্ষেত্রে মুদ্রাবাজার পুঁজিবাজারের পাশাপাশি সিন্ডিকেশন, ক্লাব ফাইন্যান্স, আইপিপিএফ তহবিল সংস্থানের কাজ করে আইআইডিএফসি। রিটেইল খাতে যানবাহন গৃহঋণ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। আইআইডিএফসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড আইআইডিএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড নামে দুটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানির মাধ্যমে পুঁজিবাজারকেন্দ্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এছাড়া পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন প্রকল্পেও অর্থায়ন করে কোম্পানিটি।

 

লংকান অ্যালায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেড

কান্তি কুমার সাহা

ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিইও

২০১৮ সালে লংকান অ্যালায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেড (এলএএফএল) বাংলাদেশের আর্থিক পরিষেবা ব্যবসায় সৃজনশীল সেবা প্রদানকারী হিসেবে আবির্ভূত হয় এবং গ্রাহকবান্ধব নির্ভরযোগ্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে। লংকান অ্যালায়েন্স ফাইন্যান্সের অধিকাংশ শেয়ারের মালিকানা রয়েছে শ্রীলংকার সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রায়ত্ত পিপলস ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি পিপলস লিজিং এন্ড ফাইন্যান্স পিএলসির কাছে। এছাড়া স্থানীয় উদ্যোক্তাদের মধ্যে রয়েছে সামিট হোল্ডিংস লিমিটেড, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, কনসেপ্ট নিটিং লিমিটেড রাবাব ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড।শুরু থেকেই কার্যক্রমে নতুন নতুন মাত্রা যোগ করে সাফল্যের সাথে চার বছর পার করেছে। ২০২১ সালে লংকান অ্যালায়েন্স ফাইন্যান্স বিনিয়োগ সহায়তা অর্থায়ন সুবিধার (আইপিএফএফ২) একটি অংশীদারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান হওয়ার সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছিল। লিজ ফাইন্যান্স, মেয়াদি ঋণ, চলতি মূলধন অর্থায়ন, যানবাহন ঋণ, ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহ ঋণ এবং এসএমই নারী উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।

 

মেরিডিয়ান ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড

কাজী নিজাম আহমেদ

ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিইও

মেরিডিয়ান ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড একটি দ্রুত অগ্রসরমান আর্থিক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৫ সালে ঢাকায় কার্যক্রম শুরু করে পর্যায়ক্রমে গাজীপুর, বগুড়া চট্টগ্রামে সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি স্বল্প দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন প্রকার সঞ্চয় স্কিমসহ হোম লোন, কার লোন, এসএমই লোন, মহিলা উদ্যোক্তা লোন করপোরেট লোন প্রদানের মাধ্যমে গ্রাহক সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

সঠিক গ্রাহক নির্বাচন সঠিক খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে আমানতকারীর সঞ্চয়ের সর্বোত্তম নিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরণে প্রতিষ্ঠানটি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। কভিড-১৯ সময়ে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতি থেকে উত্তরণে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে মেরিডিয়ান ফাইন্যান্স গ্রাহক পর্যায়ে সেবা দিতে সক্ষম হয়েছে।

প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন, পেশাদারিত্ব আর দক্ষ ব্যবস্থাপনা বজায় রেখে মেরিডিয়ান ফাইন্যান্স আর্থিক খাতের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।

 

মাইডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেড

মুস্তাফিজুর রহমান

ব্যবস্থাপনা পরিচালক

মাইডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেড ১৯৯৫ সালের বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্সপ্রাপ্ত একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। অর্থনৈতিক কার্যক্রমে সর্বোচ্চ স্তরের নৈতিক মান বজায় রেখে বৈচিত্র্যময় উদ্ভাবনী পণ্য সরবরাহ করা এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়াই প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য। মাইডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেড বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সেবা নিয়ে কাজ করে, যেমনএসএমই ফাইন্যান্স, নারী উদ্যোক্তা লোন, ক্ষুদ্র কৃষি লোন, করপোরেট ফাইন্যান্স, কনজিউমার ফাইন্যান্স, অটো লোন, হাউজিং লোন, ডিপোজিট।

প্রতিষ্ঠানটি আবাসন, যানবাহন, কনজিউমার, লিজ ফাইন্যান্সিং, অতিক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, এসএমই, লিয়েন কলমানি খাতে অর্থায়ন করে থাকে। এছাড়া মাইডাস ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড নামে সাবসিডিয়ারির মাধ্যমে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি পুঁজিবাজার কেন্দ্রীয় কার্যক্রমও পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম শেয়ারহোল্ডার হিসেবে রয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড।

 

ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড

মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম

ব্যবস্থাপনা পরিচালক

ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড ১৯৯৮ সালের ১৮ আগস্ট দেশের কিছু প্রসিদ্ধ ব্যাংক, বীমা শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনপ্রাপ্ত হয়ে একটি বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা করে। পরিচালকমণ্ডলীর সঠিক দিকনির্দেশনা সুদক্ষ ব্যবস্থাপনায় ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স দেশের করপোরেট কালচারের একটি অনন্যদৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড সুদীর্ঘ দুুই যুগ ধরে দেশের অর্থনৈতিক অঙ্গনে নিরলস সেবা প্রদানের মাধ্যমে দেশের মানুষের আস্থা অর্জনে সমর্থ হয়েছে। দেশের গৃহায়ণ এসএমই খাতে বিশেষ অবদানের জন্য ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স একটি সুপরিচিত নাম। দেশজুড়ে শাখাগুলোর মাধ্যমে ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স বাড়ি নির্মাণ সম্প্রসারণ, হাউজিং প্লট ক্রয়, গ্রুপ হোম লোন, কমার্শিয়াল স্পেস ক্রয় ইত্যাদি ঋণ দিয়ে আসছে। এছাড়া ডিপোজিট স্কিমগুলোর মধ্যে রয়েছে স্থানীয় মেয়াদি আমানত, মানি মাল্টিপ্লায়ার স্কিম, মহিলা সঞ্চয় প্রকল্প, হাউজিং সঞ্চয় প্রকল্প, কোটিপতি সঞ্চয় প্রকল্প ইত্যাদি।

 

স্ট্রাটেজিক ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড

ইরতেজা আহমেদ খান

ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিইও

স্ট্রাটেজিক ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড (এসএফআইএল) কানাডা, আমেরিকা বাংলাদেশের যৌথ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগে একটি বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত পূর্ণ সেবামূলক আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এসএফআইএলের অংশীদারত্বের ৯৮ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ, যার ৫০ শতাংশ কানাডা আমেরিকার। যার ফলে অপারেশন, অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ, পরিচালনা প্রক্রিয়া এসব ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান নিয়ন্ত্রণ করায় প্রতিষ্ঠানটি সচেষ্ট। কাস্টমারদের ধারাবাহিক উত্কৃষ্ট সেবা দেয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানটি অঙ্গীকারবদ্ধ।

এসএফআইএলের পণ্য সেবার মধ্যে রয়েছে রিটেইল ফাইন্যান্স, এসএমই ফাইন্যান্স, করপোরেট ফাইন্যান্স, করপোরেট উপদেশ পরামর্শ, সেভিংস ডিপোজিট। উল্লেখিত সেবার মধ্যে মুখ্য হলো সেভিংস ডিপোজিট, হোম লোন, অটো লোন, ছোট-মাঝারি উদ্যোক্তা করপোরেট ফাইন্যান্সিং। এসএফআইএল দীর্ঘমেয়াদি উভয় পক্ষের জন্য লাভজনক সেবার মাধ্যমে স্বচ্ছতার বন্ধন তৈরিতে বিশ্বাসী।

 

হজ্ব ফাইন্যান্স কোম্পানী লিমিটেড

খন্দকার রুমী এহসানুল হক

ব্যবস্থাপনা পরিচালক

হজ্ব ফাইন্যান্স কোম্পানী লিমিটেড দেশের একটি অন্যতম শরিয়াহভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যা বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত। দেশের স্বনামধন্য ব্যাংকার, আইনজীবী, সমাজসেবক, বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক দ্বারা এর পরিচালনা পর্ষদ গঠিত। কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই গ্রাহকদের স্বার্থ সংরক্ষণে আপসহীন ভূমিকা পালন করে আসছে।

কভিড পরিস্থিতিতেও হজ্ব ফাইন্যান্স কোম্পানী লিমিটেডের  সার্বিক পারফরম্যান্স ছিল সন্তোষজনক। বিদ্যমান আর্থিক তারল্য পরিস্থিতি, কভিড-১৯সহ বিরূপ পরিস্থিতিতেও হজ্ব ফাইন্যান্স কোম্পানী লিমিটেড সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে চাহিদা অনুযায়ী গ্রাহকদের আমানত ফেরত দিতে সক্ষম হয়েছে। এতে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর স্বীকৃতিও মিলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল্যায়নে। ২০২০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রকাশিত সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স রোটিংয়ে সেরা পাঁচটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে হজ্ব ফাইন্যান্স স্থান করে নিয়েছে।